ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হ্যান্স ক্লুজন বলেন, ওমিক্রনের বর্তমান বাড়ন্ত একবার ইউরোপ ছেয়ে গেলে কয়েক সপ্তাহ এবং মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। হয় সেটা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে না হয় আক্রান্ত হয়ে অর্জিত প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে।
হ্যান্স ক্লুজ বলেন, সেকারণে আমরা ধারণা করছি বছরের শেষ নাগাদ কোভিড-১৯ ফিরে আসলেও একটা নিরব সময় থাকবে, কিন্তু মহামারি ফিরে আসবে না।
গবেষণায় দেখা গেছে, ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষের মধ্যে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়ে কম তীব্র অসুস্থতা তৈরি করে। আর এতে অনেকেই আশা করছেন করোনা মহামারি শেষ হতে শুরু করবে আর এটা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণযোগ্য স্থানীয় সংক্রমণ হিসেবে থাকবে।
হ্যান্স ক্লুজ বলেন, ‘এনডেমিক (স্থানীয় সংক্রমণ) নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে কিন্তু এনডেমিক অর্থ হচ্ছে কী হতে যাচ্ছে তা ধারণা করা যাবে। এই ভাইরাসটি একাধিকবার আমাদের অবাক করেছে, সেকারণে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশসহ ডব্লিউএইচও’র ইউরোপীয় অঞ্চল মোট ৫৩টি দেশ নিয়ে গঠিত। গত ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই অঞ্চলে মোট করোনা আক্রান্তদের ১৫ শতাংশই ওমিক্রন আক্রান্ত। এক সপ্তাহ আগেও এই পরিমাণ ছিল ৬.৩ শতাংশ।