যে বাসে ধর্ষণ,সেটির মালিকানা পাচ্ছে রূপার পরিবার


প্রকাশের সময় :১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ৬:৫৩ : পূর্বাহ্ণ 641 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে জাকিয়া সুলতানা রুপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।যে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করার পর রুপাকে হত্যা করা হয়,সেই বাসটির মালিকানা পাবেন রুপার পরিবার।এমনই আদেশ দিয়েছেন আদালাত।এ ছাড়া এক আসামিকে করা এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও পাবে রূপার পরিবার।গতকাল সোমবার এই মামলায় বাসের চালক ও তার সহযোগীসহ চার জনের ফাঁসি,এক জনের সাত বছরের কারাদন্ডের পাশাপাশি এই আদেশও দিয়েছেন টাঙ্গাইলের একটি আদালত।গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৩৯৬৩) এই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠে।এই বাসটির মালিকানা পাচ্ছে রূপার পরিবার।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া যাদেরকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন তারা হলেন ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর রহমান,তার সহকারী শামীম,আকরাম ও জাহাঙ্গীর।অপর আসামি ওই পরিবহনের সুপারভাইজার সফর আলীকে দেয়া হয় সাত বছরের কারদণ্ড।সেই সাথে সফর আলীকে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।সারাদেশে তোলপাড় ফেলা এই মামলায় গত ১৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।আর ১০ দিন পর তা গ্রহণ করেন বিচারক।আর ১৪ কার্যদিবসে মামলার শুনানি শেষ করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রাখেন বিচারক।এই রায়ে সন্তোষ জানিয়ে রূপার ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, ‘রূপাকে হত্যার সুবিচার পেয়েছি।আমরা আর কোন রূপাকে হারাতে চাই না। এ রায়ের মধ্যে দিয়ে দেশে নারী জাতি এখন নিজ নিজ গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছানোর সাহস পাবে।’ আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ায় উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্স শুনানি করতে হবে। এরপর আপিল,রিভিউ এবং সবশেষে দণ্ডিত হলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ আছে আসামিদের।রূপার ভাই এই সব প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানান।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আতাউর রহমান আজাদ ও এস আকবর খান দ্রুততম সময়ে বিচার শেষ করায় সন্তোষ জানিয়েছেন।আজাদ বলেন, ‘এত অল্প সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের মামলার রায় ইতিপূর্বে লক্ষ্য করিনি।যারা ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতায় লিপ্ত তারা এই রায় থেকে শিক্ষা নেবে।এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ তবে আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী শামীম চৌধুরী দয়াল ও দেলোয়ার হোসেন দাবি করেছেন,তারা ন্যয়বিচার পাননি।শামীম বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে যেসব সাক্ষ্য প্রমাণ উত্থাপন করেছে সেখানে দোষ প্রমাণ হয়নি।যে আলামত রাষ্ট্রপক্ষ সংগ্রহ করেছে সেখানেও রূপা প্রমাণ হয়নি।আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!