ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখেই চূড়ান্ত অনুমোদন


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৬ অক্টোবর, ২০২০ ১১:৫১ : পূর্বাহ্ণ 342 Views

দেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এর শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে যে অধ্যাদেশ সম্প্রতি জারি করা হয়েছে তা আইনে রূপ দিচ্ছে সরকার। সেই আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংসদের আগামী অধিবেশনে আইনটি উপস্থাপন করা হবে।
রবিবার (২৫ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধিত) আইন, ২০০০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘গত ১২ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরদিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’ জারি করেন। দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যে সরকার এই পদক্ষেপ নেয়। সংসদ অধিবেশন না থাকায় তখন আইন সংশোধনের পর তা অধ্যাদেশ আকারে জারি হয়। সচিব জানান, আগামী ৮ নভেম্বর থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন শুরু হবে। সেখানে আইনটি উপস্থাপন করা হবে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আইনের খসড়া হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। লেজিসলেটিভ বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সংসদ অধিবেশন না থাকা অবস্থায় যদি কোনো অর্ডিন্যান্স হয়, তাহলে পরবর্তী সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনই সেটি উপস্থাপন করতে হয়। অধ্যাদেশ হিসেবে যেটা আনা হয়েছিল সেটাই আজকেই আইনের খসড়া হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) উপধারায় বলা হয়, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন। সংশোধিত আইনের খসড়ায় ৯(১) উপধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া অনুমোদন
এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ-২০২০’ উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সংশোধিত খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার পর ভাষণটি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। এটি গত ২২ মার্চ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর কারণে তখন এটি স্থগিত হয়ে যায়।’
সচিব বলেন, ‘ভাষণে প্রধানত বঙ্গবন্ধুর জীবন, রাজনৈতিক দর্শন এবং তার কর্মের দিক আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ এর সময় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং কীভাবে এই ভাইরাস মোকাবেলা করা হয়েছে, সে বিষয়গুলোও উল্লেখ করা হয়েছে। মহামারির মধ্যে সরকার ও রাষ্ট্র যে উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পেরেছে, অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে, সেই বিষয়গুলোও রাষ্ট্রপতির ভাষণে রয়েছে।’

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!