সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই চামড়ার দাম কমিয়ে দেয় বিএনপির সিন্ডিকেট চক্র


প্রকাশের সময় :২৬ আগস্ট, ২০১৮ ৩:০৮ : অপরাহ্ণ 637 Views

বান্দরবান অফিসঃ-ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির টাকার হকদার গরিব, ফকির-মিসকিন, মাদরাসা। আদিকাল থেকেই এ নিয়ম চলে আসছে। মাদরাসায় দানের সিংহাভাগই আসে এই কোরবানির সময়। গরিবেরাও কিছু অতিরিক্ত টাকা পায় এসময়।

কিন্তু এবছর কোরবানি পশুর চামড়ার দাম কম হওয়ায় অনেকে চামড়া বিক্রি না করে মাটিতে পুতে রেখেছেন। আর মাদরাসার ছাত্রদের মধ্যে যারা চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন তারাও পড়েছেন চরম বিড়ম্বনায়। কম দামে চামড়া বিক্রি করেও নগদ অর্থ পাননি অনেকে।

কোরবানির পর চামড়া নিয়ে এমন চক্রান্ত হতে পারে, তা আগেই চিন্তা করে রাখা হয়েছিলো সরকারের তরফ থেকে। তাই কুরবানির আগেই চামড়ার একটি নির্দিষ্ট মুল্য নির্ধারণ করে দেয় সরকার। বর্তমান বাজারের কথা চিন্তা করে সরকারের তরফ থেকে চামড়ার যে দাম ধরা হয়েছিলো তা ছিলো গত বছরের তুলনায় কম। কারণ সরকার চায় নি ট্যানারি মালিকরা সাধারণ মানুষদের ঠকিয়ে চামড়ার দাম আরো কমিয়ে ফেলুক।

এ বছর ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৪৫ থেকে ৫০ টাকা; ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত বছর প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা; ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং খাসির চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সংবাদ হচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া দামকে উপেক্ষা করে চামড়া মালিক সমিতি প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফুটে ১০ টাকায় নামিয়ে আনে।

কথা হচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া দামকে ভেঙে কেনো সাধারণ মানুষকে ঠকানোর চক্রান্ত করা হলো?

এ বিষয়ে ব্যপক অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, বিএনপির চামড়া মালিক সমিতি শুধু মাত্র সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্যই এমন সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলো।

বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য বলেন, চামড়া শিল্প বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। এ শিল্পকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে বিএনপি সমর্থিত কতিপয় ব্যবসায়ী। যার অন্যতম হচ্ছেন পারটেক্স গ্রুপের কর্ণধার জনাব এম এ হাশেম। তার একক আধিপত্যের কারণে চামড়া ব্যবসায় আজ ধ্বংসের মুখে। তিনি সহ আরো কিছু বিএনপি সমর্থিত চামড়া ব্যবসায়ী একটি সিন্ডিকেট বানিয়ে সরকারের বেঁধে দেয়া দামকে উপেক্ষা করে সাধারণ গরীব দুঃখীর ওপর এই অত্যচার চালান। যা খুবি দুঃখজনক।

এ প্রসঙ্গে আরেক আড়তদার শহীদ খান বলেন, সরকার যে দাম বেঁধে দিয়েছে সেই দাম দিলেই চলবে। দামে সমস্যা হবে না। দুঃখের কথা হচ্ছে এবার তো ট্যানারি মালিকরাই আসছেন না। আমাদের আরো লোকসান হবে যদি না নগদ টাকা হাতে পাই। সরকারের বিপক্ষে গিয়ে বিএনপি সমর্থিত একটি গোষ্টি চামড়া ব্যবসাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। যা মেনে নেয়া যায় না। প্রতি হিংসার বলি যদি গরীব দুঃখী হয় তবে বিএনপির রাজনীতি করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হয় না।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!