আগামী নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৫০টি এসি বাস আনা হচ্ছে। সরকারি পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) বাসগুলো আমদানি করবে। মেট্টোরেলে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পৌঁছার পর সহজে যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দিতে বাসগুলো চলাচল করবে।
জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরেই মেট্টোরেলের দ্বার খুলছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন শুরু হবে। উত্তরা-মিরপুর থেকে যাত্রীরা আগারগাঁও পর্যন্ত নিবির্ঘ্নে পৌঁছলেও অন্য গন্তব্যে কিভাবে যাবেন এবং মেট্টোস্টেশন পর্যন্ত আসবে সেই ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টরা চিন্তা করছেন। এই দিকটি বিবেচনা করেই গণপরিবহনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং যাত্রী সেবার মান বাড়াতে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে ৩২০টি এসি বাস দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমাদানি করা হবে। এই এসি বাসের লট থেকেই প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাস আগারগাঁও স্টেশন থেকে নগরীর বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করবে। ফলে যাত্রীরা ষ্টেশনে নেমে তাদের গন্তব্যে সহজে যেতে এবং স্টেশনে আসতে পারবেন। এই বাসগুলো আগারগাঁও থেকে চারটি রুটে চলাচল করবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মেট্রোরেলের যাত্রীদের সহজে স্টেশনে আসা যাওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে আমরা ৫০টি এসি বাস সরবরাহ করবো। চাহিদার আলোকে যদি আরো বেশি বাস লাগে তাহলে আমরা বাস আরো বাড়িয়ে দেবো।
তিনি জানান, যাত্রীর চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনে রুট পরিবর্তন করা হবে। আবার প্রয়োজনে নতুন রুট সংযোজনও করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগারগাঁও ষ্টেশন থেকে বাস চালানোর ব্যাপারে খুব শীগ্রই বিআরটিসি’র সঙ্গে ডিএমটিসিএল এমওইউ করতে যাচ্ছে। ৫০টি কোরিয়ান এসি বাস আগারগাঁও থেকে, ফার্মগেট, কমলাপুর, ধানমন্ডি হয়ে গুলিস্তান, মতিঝিল রুটে চলাচল করবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এ এন সিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেল চলাচলের জন্য সব ধরনের কাজ আগারগাঁও পর্যন্ত শেষ হয়েছে। ষ্টেশনগুলোর দ্বিতীয় তলা থেকে উপরের দিকের কাজ শেষ। নিচের দিকে কাজ এখন চলছে। এই অংশে জুনের মধ্যেই সব অবকাঠামোগত কাজ শেষ হবে। এই অংশের ৯২ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম নয়টি স্টেশনে বাণিজ্যিক চলাচলের জন্য সিস্টেম এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। যাত্রীদের চলাচলের জন্য বিআরটিসি ৫০টি বাস দেবে, এই ব্যাপারে কথা হয়েছে। শীগ্রই আমাদের মধ্যে চুক্তি হবে।