দেশে বেড়েই চলছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শেষের দিকে রেমিটেন্সের পরিমাণ কমলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আবারো পুরোদমে বেড়ে চলছে রেমিটেন্স। এদিকে চলতি মার্চ মাসের ২২ দিনেই ১১০ কোটি (১.১ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রেমিটেন্সে সুখবর দিয়ে শেষ হয়েছিল ২০১৮ সাল। গত বছরে এক হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ (১৫.৫৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা। যা ছিল ২০১৭ সালের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৫৯ কোটি ৭২ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যা ছিল এক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স।
দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারি ছিল ২৮ দিনে; তারপরও ১৩২ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। তৃতীয় মাস মার্চের ২২ দিনে (১ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত) ১০৯ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। মাস শেষে আরও নয় দিনের রেমিটেন্স যোগ হলে এই মাসে মোট রেমিটেন্সের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে জানুয়ারি মাসের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
রেমিটেন্স বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশী মুদ্রার সঞ্চয়নও (রিজার্ভ) সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ব্যাংকে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, গত ৭ মার্চ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের ১০০ কোটি ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পরও রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছে।
এদিকে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অগ্রণী, জনতা, রূপালী, সোনালী, বেসিক ও বিডিবিএল—এই ৬টি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ২৮০ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রহণ করে। আর একমাত্র রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১৫ দশমিক শূন্য ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রহণ করে।
রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক ১১৩ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জনতা ব্যাংক ৭০ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, রূপালী ব্যাংক ১৪ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সোনালী ব্যাংক ৮১ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও বেসিক ব্যাংক শূন্য দশমিক শূন্য ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রহণ করে।
অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসীরা ১,০১১ দশমিক শূন্য ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রেরণ করে। এসব বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) সবচেয়ে বেশি অর্থ ২০৬ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রহণ করে। ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল) ১৪০ দশমিক ৯০ মার্কিন ডলার গ্রহণ করে। অপর দিকে প্রবাসীরা ১০ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পাঠান।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.