পাকিপ্রেমীদের জন্য এ এক ভয়াবহ দুঃসংবাদই বটে। অবশ্য একের পর এক দুঃসংবাদে তারা এমনিতেই বাকরুদ্ধ হয়ে আছেন। কথায় আছে, অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর। এবারের সংবাদটি অবশ্য তাদেরকে পাথর থেকে ভাস্কর্যে পরিণত করতে পারে।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের ১ টাকা এখন পাকিস্তানের প্রায় ২ রুপির সমান। যা দেখে আক্কেলগুড়ুমের দশা খোদ পাকিস্তানের নাগরিকদের। তারা যারপনাই হতাশ। বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নচিত্র তাদের কাছে বিস্ময়কর হয়ে ধরা দিয়েছে। কিছুদিন আগেই পাকিস্তানি এক টেলিভিশন চ্যানেলে এক বক্তার বক্তব্যে এই তথ্য ওঠে আসে।
সে পথ যে পাকিস্তানের জন্য অনতিক্রম্য, তা ক্রমান্বয়ে স্পষ্ট হচ্ছে। পাকিস্তান এখন এক কাগুজে বাঘ। অসংখ্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে একরাশ হতাশা উপহার দিচ্ছেন ইমরান খান। সৌদি আরব ও চীন শত শত কোটি ডলার সাহায্য দিচ্ছে, তবুও ব্যর্থতা ঢেকে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। দেশের জনগণই বলছে, সরকারি কোষাগারে ছিদ্র রয়েছে, তাই সেখান থেকে সব পড়ে যাচ্ছে।
গোটা পাকিস্তান আজ কোমায়। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি অসহনীয়। জনগণের মধ্যে বিরাজ করছে চরম অবিশ্বাস, উৎকণ্ঠা। আজ তাদের একটাই আকুতি ‘খোদা কে ওয়াস্তে, হামে বাংলাদেশ বানা দো’। ‘রা’ নেই বাংলাদেশের পাকিপ্রেমীদের মুখেও। সব দেখেশুনে তারা যে পেয়ারে পাকিস্তানের জন্য মন খারাপ করে আছেন, তা বলাই বাহুল্য।
অন্যদিকে পাকিস্তানের রেখে যাওয়া ৪০ লাখ বিহারি ও ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়েও উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। সুপরিকল্পিত উন্নয়নে বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে দেশটি।
পাকিস্তান যেখানে বৈদেশিক সাহায্য নিয়েও আমাদের চেয়ে ঢের পিছিয়ে, আমরা সেখানে নিজেদের অর্থেই বাস্তববায়ন করছি পদ্মা সেতু। একটু একটু করে পদ্মার বুকে গর্বভরে দাঁড়িয়ে আছে সেতুর অবয়ব। বিশ্ব বাংলাদেশকে বলছে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ, এশিয়াতেই আজ আমরা অর্থনীতির সিংহ। সব সূচকেই আমরা পাকিস্তানের ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
তারা যখন আমাদের ছুঁয়ে ফেলার অলীক স্বপ্নে বিভোর,আমরা তখন সাফল্যের বিস্তৃত দিগন্তের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র। বাঙালির মনে আজ বাজছে সেই অবিনাশী, মৃত্যুঞ্জয়ী স্লোগান ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।