এবারে ঈদের আগে যে পরিমাণ অর্থ প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন, তা আগে কখনও আসেনি। যার মাধ্যমে প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। সদ্য সমাপ্ত মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো ১৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলার দেশে এসেছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৪ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। প্রবাসী আয় আনায় এরপরই রয়েছে ডাচ বাংলা, অগ্রণী ও সোনালী ব্যাংক।
তথ্য মতে, মে মাসে এসেছে ১৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। এপ্রিলে এসেছিল ১৪৩ কোটি ডলার, মার্চে ১৪৫ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৫৯ কোটি ও ১৩১ কোটি ডলার। ফলে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৫০৬ কোটি ডলার।
গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ১৭ লাখ (১৪.৯৮ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা। ওই অঙ্ক ২০১৬-১৭ অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি ছিল।
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হল বিদেশে থাকা বাংলাদেশিদের পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স।
বর্তমানে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। জিডিপিতে তাদের পাঠানো অর্থের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলোতে ডলারের সংকট চলছে। এ জন্য সব ব্যাংকেরই প্রবাসী আয় আনার দিকে বাড়তি নজর ছিলো। ফলে আয় অনেক বেড়েছে। আবার প্রবাসী আয় বিতরণের অবৈধ চ্যানেল বা ডিজিটাল হুন্ডি বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি জোরদার করাতে বৈধ চ্যানেলে আয় বেড়েছে। শুধু সরকারের সঠিক তদারকি, সুযোগ-সুবিধা ও প্রবাসীদের অর্থ লেনদেনের নিশ্চয়তা দেয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।