বান্দরবান অফিসঃ-২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে জয়লাভ করে ৬ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মত শপথ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
গত ১০ বছরে দেশ বদলেছে, গতিশীল হয়েছে অর্থনীতির চাকা। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, বেড়েছে জীবনযাত্রার মান। কোন আলাদিনের চেরাগে নয় বা কোন জাদুর কাঠির পরশে নয়- এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির নেপথ্যে মানুষের নিরলস শ্রম আর সরকারের ঐকান্তিক আন্তরিকতা।
এক নজরে দেখা যাক সরকারের উন্নয়ন চিত্র–
দ্রুত সময়ের মধ্যে দারিদ্র্যতা হ্রাসে বাংলাদেশের সাফল্যকে বিশ্বব্যাংক মডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী উপস্থাপন করেছে। সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।
বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার এবং নিম্ন-আয়ের দেশগুলিকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।
অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের একটি আমাদের বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকারও বেশি। যা জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্বে ৪৪তম এবং ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩২তম।
ধারাবাহিকভাবে ৬.৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্স-এর রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯তম ও ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে
জনগণের মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে আজ ১ হাজার ৪৬৬ ডলার হয়েছে। দারিদ্র্যতার হার ২০০৫-০৬ সালে ছিল ৪১.৫ শতাংশ। এখন তা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ২২.৪% শতাংশ।
অতি দারিদ্র্যতার হার ২৪.২৩% থেকে ১২ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যতার হার ১৫/১৬ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যতার হার ৭/৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে
একদিকে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা যেমন বেড়েছে, অন্যদিকে মুল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকায় মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৯ সালে মুল্যস্ফীতি ছিল ডাবল ডিজিটে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৫.০৩ শতাংশ।
২০০৫-০৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ১০.৫২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪.২৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।২০২১ সাল নাগাদ ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য জাতীয় রপ্তানি নীতি ঘোষণা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ শক্তভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।
২০০৫-০৬ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ৩.৫ বিলিয়ন ডলার যা বর্তমানে ৩২ বিলিয়ন ডলারেরও উপর । বিগত আট বছরে দেশ-বিদেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। গত বছর রেকর্ড ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৩১ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে।
গত ১০ বছরে দেশের যে প্রবৃদ্ধি, দেশের যে অনির্বাণ অগ্রযাত্রা- তার সাক্ষী হতে আবারো দরকার আওয়ামী লীগ সরকারের আগমন। অশুভকে পাশ কাটিয়ে প্রগতির চাতক সকলেই এক কাতারে ঐকান্তিক মনোবাসনা জানিয়েছেন “জয় বাংলা” স্লোগানের সপক্ষে।