বান্দরবানে কলা গাছের তন্তু থেকে তৈরি হচ্ছে সুতা।সেই সুতা দিয়েই তৈরী হচ্ছে ঘরের শৌখিন ব্যবহার্য বিভিন্ন হস্তশিল্পজাত পণ্য সামগ্রী।বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও প্রত্যন্ত এলাকায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সার্বিক দিকনির্দেশনা ও তত্বাবধানে কলাগাছের তন্তু থেকে কাপড় তৈরীর জন্য সুতা উৎপাদন এবং সুতা হতে কাপড় বুননের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও চলছে।এরই ধারাবাহিকতায় এবার জানা গেলো কলাগাছ থেকে উৎপাদিত সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরী করা হয়েছে।বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডিসি বান্দরবান প্রোফাইল থেকে নিজেই খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়,নানা প্রতিকুলতার পথ পাড়ি দিয়ে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জপুর্ন এই কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।আর এই শাড়িটি বুনেছেন বান্দরবান এর জেলা প্রশাসকের আহবানে সাড়া দিয়ে সুদূর মৌলভীবাজার থেকে আসা রাধাবতী দেবী।যে কারনে শাড়ির বুননের পুরো কৃতিত্বই রাধাবতী দেবীকেই দিলেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
জানা যায়,মৌলভীবাজারে রাধাবতী দেবী মূলত মনিপুরী শাড়ী বুনেন।শাড়ি হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এই শাড়ি বুননের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।বান্দরবান জেলার সদর উপজেলা এর কালাঘাটা এলাকায় কলাগাছের তন্তু থেকে এই শাড়ি কাপড় এর বুনন কার্যক্রমটি সম্পন্ন হয়।জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি নিজেই সরাসরি এই কার্যক্রমটির সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন।ফেসবুকে এই তথ্য প্রকাশের পরপরই ডিসি বান্দরবান ফেসবুক প্রোফাইলে জনাসাধারনের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
এদিকে কলাগাছের সুতা দিয়ে বুনন করা এটাই প্রথম কোনও শাড়ি কিনা এই প্রশ্নও রেখেছেন জেলা প্রশাসক,বান্দরবান।তিনি বলেছেন,অতীতে যদি কেউ কলা গাছের সুতা দিয়ে শাড়ি বুনন না করে থাকেন তবে তাহলে এটাই হতে যাচ্ছে কলাগাছের সুতা থেকে তৈরী প্রথম শাড়ি।আর কেউ যদি কলাগাছের সুতা দিয়ে শাড়ী বুনন করে থাকেন তবে তাহলে সেই ছবি দিয়ে সহযোগিতা করার জন্যও আহবান জানান জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য,ইতিপুর্বে শাড়ি বুননের কাজটি শুরু করার পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে রাধাবতী দেবী নিজেও কলাগাছের সুতা দিয়ে শাড়ি বুননের কাজটি কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহন করার বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন।সেসময় তিনি বলেন,বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এর যে উৎসাহ টা আমি পেয়েছি এটা কখনো ভুলবার মতো নয়।যে কারনে বয়স হয়ে গেলেও আমি চেষ্টা করবো এই কাজটি সুন্দরভাবে শেষ করতে।
প্রসঙ্গত,জেলা প্রশাসন বাস্তাবায়িত এসব প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নারী অগ্রযাত্রায় নতুন দ্বার উন্মোচন করবে এমনটাই মনে করছে বান্দরবানের স্থানীয়রা।নারীদের অর্থনৈতিক ভীত্তি মজবুত করতেই জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এর দুরদর্শী চিন্তাভাবনার ফসল কলাগাছের সুতা থেকে পন্য উৎপাদনের বিশেষ এই কর্মসূচি।যা প্রশংসিত হয়েছে বান্দরবানসহ সারাদেশে।