বান্দরবান অফিসঃ-এক বছরে স্থলবন্দরগুলোর আয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের স্থলবন্দরগুলো ১৪৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আয় করেছে। এর আগের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আয়ের পরিমাণ ছিল ১১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
দেশে বর্তমানে ২৩টি স্থলবন্দর আছে। এর মধ্যে ১২টি স্থলবন্দর কার্যকর আছে। বাকিগুলো এখনো শুল্ক স্টেশনের মতো চলে। স্থলবন্দর দিয়ে মূলত স্থলপথে আমদানি-রফতানি হয়। প্রায় ৯৮ ভাগ পণ্যই আমদানি-রফতানি হয় ভারতের সঙ্গে। মিয়ানমারের সঙ্গে হয় ২ শতাংশের মতো।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিগত অর্থবছরে স্থলবন্দর থেকে যত আয় হয়েছে, এর ৮৪ শতাংশই এসেছে তিনটি স্থলবন্দর থেকে। স্থলবন্দরগুলো হলো বেনাপোল, বুড়িমারী ও ভোমরা। বরাবরের মতো গত অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি মাশুল আদায় হয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরে। এই স্থলবন্দরের আয় ৪৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা। বুড়িমারী ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ও ভোমরা ২১ কোটি টাকা আয় করেছে।
অন্যান্য স্থলবন্দরের মধ্যে সোনা মসজিদ স্থলবন্দর ৩ কোটি ৮২ লাখ, তামাবিল ৬ কোটি ৪৬ লাখ, হিলি ৬ কোটি ৭ লাখ, টেকনাফ ৪ কোটি ৭৪ লাখ, বাংলাবান্ধা ৪৭ লাখ, আখাউড়া ৫ লাখ, নাঁকুগাও ১১ লাখ ও বিবিরবাজার ১ লাখ টাকা আয় করেছে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, গত কয়েক বছরে স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হওয়ায় এর সক্ষমতা বেড়েছে। এর পাশাপাশি বিগত অর্থবছরে তামাবিল ও সোনাহাট এই দুটি স্থলবন্দর চালু হয়েছে। এতে কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত হওয়ায় দ্রুত পণ্য খালাস হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও বেড়েছে। মূলত এসব কারণে স্থলবন্দরগুলোর আয় বাড়ছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্থলবন্দর থেকে ১৬৫ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থলবন্দরের আয়ের প্রধান উৎসগুলো হলো খালাস হওয়ার অপেক্ষায় থাকা পণ্যের জন্য শেড ও ইয়ার্ড ভাড়া, ওজন মাপার মাশুল, প্রবেশ মাশুল, শ্রমিক মজুরি, দলিলাদি প্রক্রিয়াকরণ মাশুল ইত্যাদি।