উন্নয়নশীল দেশের খ্যাতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এই অর্জনের জন্য বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে দেশ তথা এ যাত্রার সফল পরিকল্পক আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের অভ্যন্তরের নানা উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে যখন সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখন সেই যাত্রাকে বিতর্কিত করতে তৎপরতা শুরু করেছে বিএনপি।
সম্প্রতি সরকারের ঘোষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা বক্তব্য দেয়া হচ্ছে বিএনপি থেকে। আর সেই পথকে সুগম করতে, সরকারের অগ্রগতিকে ভ্রান্ত প্রমাণ করতে অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে সিপিডি ও সানেমের মতো বিতর্কিত জরিপ সংস্থাকে।
দেশের গবেষণা সংস্থা সিপিডি ও সানেমকে হাত করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করানো হয়েছে বলে বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। আর সে মোতাবেক সিপিডি ও সানেমের বিতর্ক তুলে ধরে এ নিয়ে আওয়াজ তুলেছে বিএনপির নেতারা। বিতর্ক সৃষ্টি করা নেতাদের মধ্যে অন্যতম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সরকারের হিসাব সঠিক নয়।
সূত্র বলছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টিতে দুই সংস্থাকে আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে জিডিপি নিয়ে প্রশ্ন তোলার ঠিক তিন দিন আগে ওই দুই জরিপ সংস্থার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক হয় বলেও জানা যায়।
গত জানুয়ারিতে টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকার চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ হবে বলে প্রাথমিক ধারণা করছে। সরকারের এই প্রাক্কলনের কাছাকাছি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের আভাস দিয়েছে এডিবি; তারা বলছে এই অঙ্ক ৮ শতাংশ হতে পারে। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
অর্থনীতি সচেতন ব্যক্তি মাত্রই জানা আছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের পরিমাপক পদ্ধতি অনুমান নির্ভর। অর্থনৈতিক ভারসাম্য, অগ্রগতি ও অগ্রগতি সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হিসাব। যা কমতেও পারে এবং বাড়তেও পারে। ফলে জিডিপির অগ্রগতি বিষয়ক হিসাব নিঃসন্দেহে হিসাব ও ধারণাজাত। আর সে কারণেই জরিপের তারতম্যতা থাকে। আর যে কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব কোনো জরিপে ৮ দশমিক ১৩, আবার কোনো জরিপে ৮ শতাংশ, এমনকি ৭ শতাংশেরও হিসাব এসেছে। সুতরাং এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।