বিয়ের আশ্বাসে ২০১৯ সাল থেকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে বান্দরবান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী।সোমবার (২৩ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী দিপঙ্কর দাশ গুপ্ত বলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসিকে মেডিক্যাল পরীক্ষাসহ যাবতীয় প্রমাণাদি সংগ্রহ করাসহ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী ইসলামিক মিশনে কর্মরত। ২০১৯ সালে অভিযুক্তের সঙ্গে পরিচয় হয়। ২০১৯ সালের ৪ জুলাই বিকাল ৫টায় বাদীকে ডেকে বিয়ের আশ্বাসে অফিসে থাকা শয়নকক্ষে ধর্ষণ করে। ২০২২ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে বাদীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় ও তা কাউকে জানালে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। তাই বাধ্য হয়েই আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
তবে অভিযুক্ত নেয়ামত উল্লাহ্ কে সিএইচটি টাইমস ডটকম তাঁর অফিসিয়াল নাম্বারে বেশকয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোনকল টি গ্রহণ না করে কেটে দেন।পরে সাংবাদিক পরিচয়ে ক্ষুধে বার্তা পাঠানো হয়।তারপরও তিনি ফোন কল গ্রহণ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।অফিসের একটি রুমকে শয়নকক্ষ হিসেবে তিনি ব্যবহার করেন বিষয়টি ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র সিএইচটি টাইমস ডটকমকে নিশ্চিত করেছে।এবিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করছে সিএইচটি টাইমস ডটকম।এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম সিএইচটি টাইমস ডটকমকে বলেন, ‘এখনও এ ধরনের কোনও মামলার কপি হাতে পাইনি।তাই বিস্তারিত বলতে পারছি না।’
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়,সরাসরি শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হতে না পারলে ইমো এ্যাপস ব্যবহার করে ভিডিও কলে সংযোগ স্থাপন করেও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক হিসেবে বান্দরবান জেলায় কর্মরত এই উপপরিচালক।
প্রসঙ্গত,ইতিপুর্বে বান্দরবান জেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাস্তবায়িত সরকারের বেশ কয়েকটি উদ্যোগ,সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম নিয়ে তথ্য সংগ্রহকালে তিনি অসহযোগিতা করেছেন এমন অভিযোগ রয়েছে।একপর্যায়ে সিএইচটি টাইমস ডটকম তাঁর এই অসহযোগিতার তথ্য উল্লেখ করে তৎকালীন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা এর দায়িত্ব পালনকালীন সময়কালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনেরই একটি জাতীয় কর্মসূচির প্রকাশিত সংবাদেও বিষয়টি উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করে।