বান্দরবানের লামা উপজেলা এর ফাইতং ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ১০টি ইটভাটার মালিককে ২৮ লাখ টাকা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তর,বান্দরবান কার্যালয় ও বান্দরবান জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।অভিযানে নেতৃত্ব দেন বান্দরবান জেলা প্রশাসন এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অরুপ রতন সিংহ।পরিবেশ অধিদপ্তর, বান্দরবান কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক মো.ফখর উদ্দিন চৌধুরী সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি তে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন,১৯৯৫ সংশোধিত-২০১০ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩ (সংশোধিত -২০১৯) আইন অমান্য করায় এনআরবি ব্রিকস কে আড়াই লাখ,ইউবিএন ব্রিকস কে আড়াই লাখ,ফোর বিএম ব্রিকস কে তিন লাখ,ওয়াই এসবি ব্রিকস কে তিন লাখ, এমএমবি ব্রিকস কে তিন লাখ,এসএবি ব্রিকস কে তিন লাখ, এসবিএম ব্রিকস কে তিন লাখ,কেবিসি ব্রিকস কে তিন লাখ,এসবি ডাব্লিউ ব্রিকস কে আড়াই লাখ,এফএসি ব্রিকস কে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর,বান্দরবান কার্যালয় এর জুনিয়র কেমিস্ট মো.আব্দুস সালাম এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।পরিবেশ অধিদপ্তর,বান্দরবান কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক মো.ফখর উদ্দিন চৌধুরী জানান,পরিবেশ এবং জীব বৈচিত্র রক্ষায় এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য,লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে স্থাপিত এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর এর ছাড়পত্র ব্যাতিত নিষিদ্ধ এলাকায় ড্রাম চিমনি বিশিষ্ট ইটভাটা পরিচালনা,ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার,পাহাড় কর্তনসহ পাহাড় কেটে জীব বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ ছিলো।এনিয়ে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় এসব ইটভাটা বন্ধ করে দিতে বহুদিন ধরে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন দাবি জানিয়ে আসছিলো।এদিকে লামা উপজেলার সরইতেও বন উজাড় করে ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাট ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।সরই ইউনিয়নের স্থাপিত এসব অবৈধ ইটভাটা গুলোকেও অভিযানের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।