বান্দরবানের রুমা দেব বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু উঃ চাইন্দাসারা’র উপর হামলার ঘটনায় ১২ জনকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন বান্দরবান বিজ্ঞ চীফ জডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালত।রবিবার (১০ এপ্রির) দুপুরে বান্দরবান বিজ্ঞ চীফ জডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আমলী আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন এর আদালত এ আদেশ দেন।এর আগে রুমা দেব বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি থোয়াইচিং মার্মা-উঃ নাইন্দিয়া ভিক্ষু (৩২)। বাদী হয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত অঞ্জন বড়ুয়া (৪৬), লিটন বড়ুয়া (৩২), বাপ্পারাজ বড়ুয়া (৩২), বিপ্লব বড়ুয়া আরমান (২৩), হৃদয় বড়ুয়া (২৮), অভিরাজ বড়ুয়া (২২), মিন্টু বড়ুয়া (২৮), সজল বড়ুয়া (২০), ছোটন বড়ুয়া (২০), রুবেল বড়ুয়া (৩২), রোকন বড়ুয়া (২৪), রাখাল বড়ুয়া (৫২), নয়ন বড়ুয়া (২০), রিন্টু বড়ুয়া (৩২), রুমি বড়ুয়া (২৫), রনি বড়ুয়া (২৩), বিদ্যুত বড়ুয়া (৪৫), শোভা রানি বড়ুয়া (৪৫), রুপনা বড়ুয় (সাবেক মহিলা মেম্বার-(৩৫), কাকলী বড়ুয়া (৩০), রিপন বড়ুয়া (৩০)’সহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনের বিরুদ্ধে রুমা থানায় মামলার এজহার দায়ের করেন।
ksrm
ksrm
পরে অভিযুক্ত আসামী’রা গত শনিবার বিকালে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে রুমা থানা পুলিশ রবিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের বিজ্ঞ চীফ জডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ সময় বান্দরবান বিজ্ঞ চীফ জডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন, এপিপি এ্যাড. বাসিং থুয়াই মারমা, বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট উম্যাসিং মারমা, এ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মারমা, এ্যাডভোকেট নুখ্যাই মং মারমা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রুমা দেব বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভিক্ষু উঃ চাইন্দাসারা’র উপর হামলা করে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের কয়েকজন দুষ্কৃতকারী, এতে আহত হন ভিক্ষু উঃ চাইন্দাসারা’সহ আরো কয়েকজন ভিক্ষু। খবর পেয়ে রুমা বাজার হতে মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আহতদের বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও তারা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এই ঘটনাকে কেন্দ্রকরে গত বৃহস্পতিবার সকালে ভিক্ষুর উপর হামলার প্রদিবাদে মৌন মিছিল এবং মানবন্ধন করেন রুমা উপজেলার বিভিন্ন বিহারের ভিক্ষু, শ্রমণ ও দুর্গম এলাকা থেকে আগত প্রায় কয়েক হাজার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মারমা’রা। তারা প্রশাসনের প্রতি বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।