বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কে বেড়েছে ঝুঁকিপুর্ন লোকাল বাসের দৌরাত্ম।ফিটনেসবিহীন এসব পরিবহন সাধারন যাত্রীদের জীবনকে নিরাপত্তাহীন করে তুলেছে।বছরের পর বছর এসব লোকাল বাস যাত্রী সেবার নামে প্রতারনা করে আসছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারন।জানা যায়, প্রতিদিন বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কের অন্তত দশটি স্পটে হাজারো মানুষ তাদের জীবন জীবিকার প্রয়োজনে এক প্রকার বাধ্য হয়ে লক্কর ঝক্কর এসব পরিবহনে ভ্রমন করছে।ভোগান্তি যেনো তাদের জন্য নিত্য দিনের সঙ্গী।সাথে যাত্রীদের সাথে নানাভাবে আপত্তিকর ও অপেশাদার আচরন করা হয় বলে জানিয়েছেন নিয়মিত এই সড়কে লোকাল বাসের ভ্রমনকারী যাত্রীরা।এবিষয়ে মালিকদের নিরবতা তাদের সেচ্ছাচারিতার জন্য অন্যতম একটি কারন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।তাছাড়া এসব ঝুঁকিপূর্ণ লোকাল বাস দিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করার অভিযোগ উঠেছে।প্রশাসনের প্রতি স্থানীয়দের দাবি লক্কর ঝক্কর এসব বাস গাড়ি গুলোকে শৃঙ্খলায় ফেরাতে অতিদ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করুক।
আরও জানা যায়,লোকাল বাস মালিক ও চালক ইউনুস এর নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কে নৈরাজ্য এবং সেচ্ছাচারিতা সৃষ্টির অন্যতম হোতা বলে জানা গেছে।নিম্ন আয়ের বেশিরভাগ মানুষ এই লোকাল বাসগুলো কে ভরসা মনে করলেও তাদের জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে।ইউনুস চক্রের এমন নিরব সিন্ডিকেটই মূলত সড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন এসব লোকাল বাস সরিয়ে দেয়ার প্রধান অন্তরায় হিসেবে দেখছে স্থানীয় জনসাধারন।অনুসন্ধানে জানা যায়,বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কে চালক হামিদ-বাস নাম্বার ০৫০০৮২/চালক ইউনুছ-বাস নাম্বার ১১১৫৬/চালক ফেরদৌস-বাস নাম্বার ১১০২৩৩/চালক তালেব-০৫০০৪৮ পরিবহগুলো ইউনুছ সিন্ডিকেটের আওতাভুক্ত এবং এসব পরিবহন এর ফিটনেস নাই।এর বাইরে আরও কতটি বাস ফিটনেসবিহীন অবস্থায় রয়েছে এবং যাত্রী পরিবহন করছে সে তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।বর্তমানে এই সড়কে ২৪ থেকে ২৫টি বাস যাত্রী পরিবহন করছে।এসব বিষয়ে কথা বলতে নারাজ লোকাল বাস পরিবহন মালিকরা।
সিন্ডিকেট তৈরি করে নানা অপকর্মে জড়িত মো.ইউনুস নিজেই নিজের নিজস্ব মালিকানাধীন ১১১১৫৬ নং বাসের ফিটনেস না থাকার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন,শুধু আমার মালিকানাধীন গাড়ির ফিটনেস নাই এমন না।খবর নিয়ে দেখেন এইরকম অসংখ্য বাস গাড়ি যাত্রী পরিবহন করছে।আমি কোনও সিন্ডিকেটবাজিতে নাই তবে তিনি এই ধরনের ফিটনেসবিহীন গাড়ি জনসাধারনের জীবন কে ঝুঁকিতে ফেলছে বলেও দাবি করেন।
এদিকে পুর্বানী পরিবহন মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সুব্রত কান্তি দাশ ঝন্টু জানান,বর্তমানে কতগুলো বাস ফিটনেসবিহীন আছে তা নিরুপনের কার্যক্রম চলমান।প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ফিটনেস বিহীন কতগুলো পরিবহন সড়কে আছে তা নিরুপন করা হবে।ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এমদাদ উল্লাহ জানান,নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।ফিটনেস বিহীন পরিবহন গুলোকে একটি সময় নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে তাদের কাগজপত্র হালনাগাদ করার জন্য।যেসব বাস গুলো তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাত্রী পরিবহন করছে এমন বাসের সঠিক সংখ্যা জানা নাই তবে পুরো বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে খতিয়ে দেখা হবে এবং ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
(((পরিবহনঃ ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ১ম পর্ব)))