নাম তাঁর জয়নাল আবেদিন।ছিলেন শিবিরের সাথী পর্যায়ের কর্মী।পিতা দলিলুর রহমান আনসারীও ছিলেন জামায়াতের বান্দরবান আমীর।সরকার পরিবর্তনের সুযোগে ভোল্ট পাল্টে পিতা পুত্র সবাই আশ্রয় নিলেন বিএনপি তে।বিএনপি হয়েই থেমে থাকেন নি।সাচিং প্রু জেরীকে বশে নিয়ে পুরো বান্দরবান বিএনপির হর্তাকর্তা বনে গেলেন।নিয়মিত কার্যালয় খুলে বান্দরবান বিএনপি কখন কোথায় কি করবে তাঁর সব নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে ওস্তাদ সাবেক শিবির সাথী জয়নাল সাচিং প্রু জেরী কে বানিয়েছেন হাতের পুতুল।জয়নালের সিদ্ধান্তই জেরীর সিদ্ধান্ত।নিজেকে জেরীর অলিখিত একান্ত সহকারী বা পিএস বলেও গর্ববোধ করেন।বান্দরবান বিএনপি নেতাকর্মীদের মুখে মুখে একটাই প্রশ্ন বিএনপিতে জয়নাল কে,তার পদপদবী কি।
শোনা যায় মোটা অংকের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে নিজের সাবেক শিবির সাথী পরিচয় মুছে দিয়ে চাকরিটা জুটিয়েছেন।সেখানেও দুর্নীতির জাল বিস্তার করে হয়েছেন ওএসডি।চাকরি করলে কি হবে তিনি তো মস্তবড় রাজনৈতিক নেতা।লোহাগাড়া কৃষি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তিনি সবসময় বান্দরবানেই থাকতে অভ্যাস্ত এবং রাজনীতি নিয়ে ব্যাস্ত।তাই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে বান্দরবানে বসে রাজনীতি নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন আর মাস শেষে হাফ বেতন তুলতে যান কর্মস্থল লোহাগাড়ায়।তাঁর এই অনুপস্থিতিতে লোহাগাড়া কৃষি অফিসেরও কিছু যায় আসেনা বরং লোহাগাড়া অফিস তাঁর এই অনুপস্থিতি নিয়ে বেশ উদাসীনই বলা চলে।লোহাগাড়া কৃষি কর্মকর্তার সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি।রাজনীতি করতে গিয়ে ইতিমধ্যে ৫ টা মামলার আসামিও হয়েছেন যার মধ্যে মাদকদ্রব্য বহন করার মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে চলমান।জেরী সমর্থক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সক্রিয় শীর্ষ এক নেতা বলেন,বান্দরবান বিএনপির সাজানো বাগান ধংসের পেছনে জয়নাল এর ভূমিকা বিএনপি নেতাদের মুখে মুখে।চাকুরীর বিধিমালা অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা সময়ের দাবী।একজন মানুষ একসঙ্গে রাজনীতি এবং চাকরি করতে পারেনা।এদিকে জয়নাল পুলিশের হাতে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন, এমনকি জেলও খেটেছেন।তারপরও সরকারি চাকরি বিধিমালার আইন অনুযায়ী জেরির এই পিএস এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ভাবে আইনানুগ কোনও ব্যাবস্থা লক্ষ্যনীয় নয়।রাজনীতি করতে গিয়ে নামে বেনামে খুলেছেন ফেইক আইডি।এসব আইডি দিয়ে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের জাতগোষ্ঠী উদ্ধার করা হয়।যার সবচেয়ে বড় স্বীকার কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুহবুবের রহমান শামীম।বিএনপির এই নেতাকে নিয়ে এমন কিছু বাকী রাখেনি যা জয়নাল গং লিখেনি।এই আইডি গুলো সুরক্ষিত করার জন্য চারজন ছেলে নিয়োগ করেছেন।যাদের কাজই হলো ফেসবুকে প্রতিপক্ষ নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ানো।
সরকারি চাকরির তোয়াক্কা না করে এই জয়নাল কে জেরীর সাথে রাজধানী ঢাকার গুলশান,নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত দেখা যায়।এদিকে লোহাগাড়া সরকারি কার্যালয়ের কথা বলার জন্য কাউকে পাওয়া না গেলেও কথা হয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্রগ্রাম এর উপপরিচালক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন এর সাথে।তিনি বলেন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে ওই ব্যাক্তি কোনওভাবেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেন না।এসময় তিনি আরও বলেন,একজন সরকারি চাকুরিজীবী কখনও কোন রাজনৈতিক নেতার পিএস হিসেবে কাজ করতে পারেনা।আমি এই প্রথম বিষয়টি জানলাম,পুরো বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।এদিকে জয়নাল আবেদীন কে বক্তব্য নেয়ার জন্য ফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
(((ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ১ম পর্ব)))
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.