আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় দফা ক্ষমতার প্রথম বাজেটে (২০১৯-২০) থাকছে বেশকিছু চমক। এতে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরসহ এমন কয়েকটি জনকল্যাণমুখী উদ্যোগের প্রস্তাব করা হচ্ছে, যা আগের কোনো বাজেটেই ছিল না। ইতোমধ্যে এই বাজেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আগামী বাজেট এমনভাবে প্রণয়ন করা হবে যা সাধারণ মানুষকে স্পর্শ করবে। আর তাই এই বাজেট নিয়ে জনমনে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। যেসব নতুন চমক থাকছে তা নিয়েই বাংলার আলোর আজকের আয়োজন।
বেকারদের জন্য ঋণ তহবিল
আসন্ন বাজেটে প্রথমবারের মতো থাকছে বেকারদের জন্য ঋণ তহবিল (স্ট্যাট আপ ফান্ড) এর উদ্যোগ। এ তহবিল থেকে স্বল্পসুদে সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে ব্যবসা কবতে পারবেন বেকাররা। এ ছাড়া কৃষকের জন্য ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে চালু করা হবে শস্যবীমা। প্রাথমিকভাবে বেছে নেয়া হবে একটি জেলাকে। পরবর্তী সময়ে এটি ছড়িয়ে দেয়া হবে সারা দেশে। এ ছাড়া নতুন উদ্যোগের মধ্যে থাকছে প্রবাসীদের জন্য বীমা সুবিধা।
প্রবাসী বীমা
বর্তমানে বিদেশে ৭০-৮০ লাখ প্রবাসী অবস্থান করছেন। আর প্রতিবছর নতুন করে দেশের বাইরে চাকরিতে যাচ্ছেন ৫-৭ লাখ মানুষ। এদের বীমা সুবিধার আওতায় আনা হবে। কারণ অনেকে বিদেশে গিয়ে চাকরি হারাচ্ছেন, দুর্ঘটনায় পঙ্গু ও নিহত হচ্ছেন। এ ছাড়া নানাভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফিরছেন। এসব ঝুঁকির কারণেই তাদের বীমার আওতায় আনা হবে।
মোট ব্যয়
আসন্ন বাজেট প্রস্তাবে মোট ব্যয় চূড়ান্ত করা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি বাজেটের আকার হচ্ছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ছে ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।
মোট আয়
বাজেট প্রস্তাবে বড় আকারের ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ আয় হবে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান।
সামগ্রিক ঘাটতি
আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ (অনুদানসহ) দাঁড়াবে ১ লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া এ ঘাটতির পরিমাণ হবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। তবে অন্য বছরের ন্যায় জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যেই রাখা হয়েছে নতুন ঘাটতি বাজেট। এই ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি
আসন্ন বাজেটে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছর ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ অর্জন হবে- এমন প্রত্যাশা থেকেই আগামী অর্থবছরের এ লক্ষ্য স্থির করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদার পাশাপাশি রফতানি ও রাজস্ব আয়ের গতিশীলতার কারণে এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সহায়ক হবে।
পণ্যের দামে প্রভাব
জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কম থাকবে। অন্যান্য পণ্যের দাম কিছুটা নিম্নমুখী থাকবে। ফলে দেশের ভেতর পণ্যের দাম বাড়বে না- এমন আশা থেকেই নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
এ ছাড়া নতুন বাজেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী পালনের প্রতিফলন থাকবে। আর বেশি মনোযোগ থাকবে নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে। দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তর করার প্রত্যয় থাকছে আসন্ন বাজেটে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.