সিএইচটি নিউজ ডেস্কঃ-চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নিজ মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে আনোয়ার শাহাদাৎ ওরফে শিশির (৩০) নামের এক পাষণ্ড বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ মে) রাতে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের হাতে তাকে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।গতকাল বুধবার (২৩ মে) সকালে নিজ বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী।
ধর্ষিতা ও তার মায়ের (সৎ) বরাতে পুলিশকে জানিয়েছে, লিচুবাগান এলাকার একটি ভাড়া বাসায় প্রায় দুই বছর ধরে নিজ মেয়েকে জোরপূর্বক নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে আসছে অভিযুক্ত বাবা শিশির।শিশির নামের ওই পাষণ্ডের আরও দুইজন বউ রয়েছে।ধর্ষক শিশির নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার মাইজদীর রাজগঞ্জ এলাকার মৃত এনামুল হক সেলিমের ছেলে। বর্তমানে সে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় ‘ম্যাস্ট বুকস অ্যান্ড স্টেশনারি’ নামের একটি লাইব্রেরি পরিচালনা করে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভুঁইয়া বলেন, ‘এমন অমানবিকতা আগে কখনো দেখিনি। ধর্ষিতা ও তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই লম্পট ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।
বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লম্পট শিশির ধর্ষিতার মাকে নরসিংদী থেকে বিয়ে করে। তাদের ঘরে রয়েছে তিনটি মেয়ে সন্তান। কয়েক বছর আগে বড় বউকে তাড়িয়ে দিয়ে দিনাজপুরের রুমা আকতারকে বিয়ে করে সে। এসময় রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনার ভাড়া বাসায় বাবার সাথে থাকতো তার প্রথম ঘরের মেয়েটি। সে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় রাইজিং সান কেজি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বছর না ঘুরতেই শিশির তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে মাগুরা থেকে এক নারীকে বিয়ে করে নিয়ে আসে। এর মধ্যে গত প্রায় দুই বছর ধরে নিজ মেয়েকে জোরপূর্বক নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে আসছিলে শিশির। গতকাল শিশিরের তৃতীয় স্ত্রী ও ধর্ষিতা এ ঘটনা এলাকাবাসীকে জানায়।
এ ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পরপরই স্থানীয় জনতা শিশিরকে আটক করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধর্ষিত মেয়েটি বাবার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বুধবার রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করে।