বান্দরবান পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (ওএমএস) এর চাল সাধারণ মানুষকে ন্যার্য মূল্যে বিতরণের জন্য সরকারী গোডাউন থেকে সংগ্রহ করে,আর তা বিতরণ না করেই বেশি দামে বস্তায় বস্তায় বিক্রি করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ইতিমধ্যে ডিলার আব্দুল জলিল এর মজুদকৃত চাউলের বস্তা রাতের আধারে পাচার করার কয়েকটি দৃশ্য সিসিটিভিতে ধরা পড়ার পর ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয়রা।
আরো জানা গেছে,বান্দরবান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা না হলেও ১৯৯৮ সাল থেকে পৌরসভার আর্মিপাড়ায় সরকারের ওএমএস এর ডিলার নিয়ে চাউলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেন জলিল।সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) এর ডিলার এর দোকান খোলার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে ওঠে নানা অনিয়মের অভিযোগ।
সরকারি ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিজনকে ৩০ টাকা কেজি দামে ৫ কেজি চাউল ও ১৮ টাকা কেজি দামে ৫ কেজি আটা বিতরণের কথা থাকলেও অনেক সময় ওজনে সুক্ষ্ম কারচুপি,বিতরণের নির্ধারিত সময়ের আগে বিতরণ বন্ধ করে দেয়া,চাউলের বস্তা মজুদ রেখে বাইরে চড়া দামে বিক্রি করার মতো ন্যাক্কারজনক অভিযোগ নিয়মিত আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে উঠে।কিন্তু সাধারণ মানুষ তোয়াক্কা করেননা এমনই অভিযোগ এই ডিলার কে নিয়ে।
বান্দরবান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর হারুণ সর্দার বলেন,ডিলার আব্দুল জলিল এর কারণে এলাকার সাধারণ জনগণ পর্যাপ্ত পরিমানে চাল পায় না।এই ডিলার গরীব ও অসহায় মানুষের সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল দিতেও প্রায়ই অপারগতা প্রকাশ করেন।অনেক সময় সাধারণ উপকারভোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও আমরা দুই দিন বা তিনদিন পরপরই নিয়মিত পাচ্ছি।
একই এলাকার বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান,ডিলার আব্দুল জলিল এর কারণে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (ওএমএস) এর সুনাম নষ্ট হচ্ছে।সে যে রাতের আধারে চাল পাচার করে তার ভিডিও ফুটেজ এখন আর্মি পাড়া,ওয়াব্দাব্রীজ এবং শেরেবাংলা নগর এলাকায় বসবাসরত মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে গেছে।
তবে এই ব্যাপারে অভিযুক্ত ওএমএস ডিলার আব্দুল জলিল বলেন,কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে,এসব অপপ্রচার।যদিও সিএইচটি টাইমস ডটকম বান্দরবান এর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কানিজ জাহান বিন্দু কে ফোন করে কিন্তু তিনি কলটি গ্রহণ না করায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে জেলা প্রশাসন এর নির্ভরযোগ্য একটি জানিয়েছে,বান্দরবান পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (ওএমএস) এর ডিলার এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে তদন্ত প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন বান্দরবান এর জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
উল্লেখ্য,শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিন ব্যাতীত পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন ডিলার এর জন্য প্রতিদিন সরকারি ভাবে ১টন করে ওএমএস চাল এর বরাদ্দ রয়েছে।এই চাল স্থানীয় খাদ্য গুদাম থেকে সংগ্রহ করে ন্যায্যমুল্যে বিক্রি করে ডিলার।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.