বিএনপি-জামায়াত-জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার ষড়যন্ত্র করছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এ কারণেই সম্প্রতি পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ মালিবাগে পুলিশের গাড়ীতে আইএস এর হামলার দায়িত্ব স্বীকারের বার্তা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। তবে সাইট ইন্টেলিজেন্সের দেয়া খবরকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গণমাধ্যমকে বলেছেন, এটি জঙ্গিদের কাজ নাকি দেশ জুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, পুলিশের ওপর বোমা হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গি উত্থানের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এটি উদ্বেগের। এ বিষয়ে একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা, আইএস’য়ের দায় স্বীকার ও সেটিকে ভিত্তিহীন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি করা- এই তিনটি ঘটনা যদি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় তবে একটি পরিকল্পনা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যা প্রমাণ করে- আইএস’য়ের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের যোগাযোগ, পুলিশের গাড়িতে হামলা ও জঙ্গিবাদ ছড়ানোর কৌশল- একই সূত্রে গাঁথা।
পরিকল্পনার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, মালিবাগে যে হামলাটি হলো লক্ষ্য করলেই দেখা যায় সেটি সাধারণ একটি বোমা হামলা। এবং সেই বোমা হামলাটি মানুষকে আতঙ্কিত করা ও পুলিশকে ঘাবড়ে দেয়ার পাঁয়তারা ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু এরকম সহজ করে ভাবলে হবে না। বিএনপি-জামায়াতের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিবেচনা করে এই ঘটনাকে আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে। রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কোনো ইস্যুই পাচ্ছে না বিএনপি-জামায়াত। ফলে দেশজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে কোনো একটি লক্ষ্যের দিকে এগুতে এরকম করতে পারে তারা। তবে আইএস- এর সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি উদ্বেগের এবং ভয়াবহ।
বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, দেশীয় একটি গোষ্ঠীর (বিএনপি-জামায়াত) আইএস- এর সঙ্গে যোগাযোগ ঘটেছে এটি নিঃসন্দেহে বলা যাচ্ছে। পরিস্থিতি বিগড়ে দিতে ও জঙ্গিবাদকে নতুন করে সামনে আনতে বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটিয়ে সেই দায় আইএসকে দেয়ার পরিকল্পনা চালানো হচ্ছে। এতে একটি দল বা জোট যেমন লাভবান হবে, লাভবান হবে আইএসও। দেশে হামলাগুলো করবে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী, কিন্তু এর দায় নেবে আইএস। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আইএস এর সংশ্লিষ্টতা খুঁজে না পেয়ে বিভ্রান্ত হবে- পরিকল্পনাটি এরকমও হতে পারে। তবে বিষয়টি উদ্বেগের, তাই সতর্ক থাকতে হবে। এ দেশে আর কোনোভাবেই জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।