দেশের বেসরকারি ৭৮ হাসপাতাল ও ক্লিনিককে করোনা শনাক্তের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এই পরীক্ষা করানোর খরচ ধরা হয়েছে ৭০০ টাকা। করোনা সংক্রমণ শনাক্তে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফল পাওয়া ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে। অ্যান্টিজেন টেস্টে নাক কিংবা মুখবিহ্বরের শ্লেষ্মা ব্যবহার করা হয়। আরএনএ বিশ্লেষণের পরিবর্তে এখানে ভাইরাসের প্রোটিন শনাক্ত করা হয়। আবার রক্ত পরীক্ষা করেও অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। দেশে বর্তমানে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনাভাইরাসের বেশিরভাগ নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
গত বছর দেশে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর শুধু আরটি-পিসিআর পরীক্ষাই চলত। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু করে সরকার। সরকার এই পরীক্ষাটি বিনামূল্যে করে দিচ্ছে।
গত ১১ মার্চ স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি স্টেটের নীতিমালা অনুমোদন করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। ১ জুন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে কোভিড-১৯ রোগ নির্ণয়ে অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের নামসহ মূল্য নির্ধারণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে প্রস্তাব পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।