শিরোনাম: জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বান্দরবানে পাহাড়ি বাঙালি নেতৃবৃন্দের শান্তি আলোচনা রুমা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-ড্রোন-সিগন্যাল জ্যামারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম করলো বিজিবি বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে বিজ্ঞান মেলা বান্দরবানে যথাযোগ্য মর্যাদায় শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কে ইউনুস সিন্ডিকেটঃ হাজারো মানুষের ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ লোকাল বাস বান্দরবানে যথাযোগ্য মর্যাদায় জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন কাবাডি ও দাবা প্রতিযোগিতা এর পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠিত বান্দরবানে এক ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

২৫ আসনের দাবিতে বিএনপিকে ড. কামালের আল্টিমেটাম, না মানলে ঐক্যফ্রন্ট শেষ!


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ৬:১০ : অপরাহ্ণ 543 Views

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতে ইসলামীকে ২৫ আসন এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ১৮ আসন ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের আসন বন্টনে এই বৈষম্যকে মানতে না পেরে অন্তত জামায়াতের ন্যায় ২৫ আসন দাবি করেছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল। অন্যথায় জোট থেকে বের হয়ে আসারও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

আসন বন্টন ও বিএনপির এমন আচরণ প্রসঙ্গে ৭ ডিসেম্বর গণফোরামের মতিঝিল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. কামাল বিএনপির সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, একটি দল যখন মৃতপ্রায়, সেখান থেকে তুলে এনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে পুনরায় জীবন দিলাম, আর সেই বিএনপি এখন জামায়াতকে যে কয়টা আসন ছেড়ে দিচ্ছে ঐক্যফ্রন্টকে তার চেয়ে নগণ্য ভেবে মাত্র ১৮ আসন ছেড়ে দিতে চায়। কতটা অকৃতজ্ঞ হলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অথচ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সূচনালগ্নে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের জন্য বড় ধরণের ছাড় দেয়ার কথা বলেছিলো। এখন যখন কিছুটা নিঃশ্বাস ফিরে পেয়েছে, তখন প্রতিজ্ঞা ভুলে গেছে।

ড. কামালের অবস্থান সম্পর্কে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, কামাল ভাই প্রচণ্ড দুঃখ পেয়েছেন। বিএনপির অবিবেচনা যে এ জায়াগায় পৌঁছাতে পারে তা কারো কল্পনাতেও আসেনি। এই পরিস্থিতিতে কামাল ভাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছেন। তিনি অন্তত জামায়াতের ন্যায় জাতীয় ঐক্যের জন্যও ২৫টি আসন চান। আর যদি বিএনপি তা না মেনে নেয় তবে ঐক্যফ্রন্টে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আমরা এ বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে আলাপ করেছি। বিষয়টি সুরাহা না করলে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে নড়বো না।

শরিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পর আসন বন্টন নিয়ে সরব ছিলো ঐক্যে থাকা প্রতিটি দলই।  এর অংশ হিসেবে ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হওয়ায় গণফোরাম নির্বাচনে ৭০ থেকে ৭৫টি আসন, জেএসডি এবার ৩০ থেকে ৩৫টি আসন, ঐক্যফ্রন্টে সর্বশেষ যোগ দেওয়া দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আশা করছে ২০টি, নাগরিক ঐক্য অন্তত ২০টি আসন আশা করেছিলো। কিন্তু পরিস্থিতি ঐক্যফ্রন্টের জন্য মাত্র ১৮ আসন চূড়ান্ত করায় কিছুটা ইমেজ সঙ্কটেও পড়েছে জাতীয় ঐক্যের এই নেতারা। সূত্র বলছে, আসন নিয়ে ড. কামালসহ জাতীয় ঐক্যের নেতাদের অবস্থান যেরকম দেখা যাচ্ছে তাতে বিএনপি তাদের দাবি মেনে না নেয় তবে ঐক্য ভেঙে যেতে পারে।

এমন বাস্তবতায় জামায়াত প্রসঙ্গে টেনে আ.স.ম আব্দুর রব বলেন, জামায়াতের মতো একটি যুদ্ধাপরাধী দলকে যখন বিএনপি ২৫ আসন দিতে পারে সেখানে জাতীয় ঐক্যের নেতাদের এভাবে ১৮ আসন দিয়ে অপমান করার কী দরকার ছিলো? ঐক্যের শরিকদলগুলোর বিবেচেনায় জামায়াতের জনপ্রিয়তা যে বেশি নয় তা আমরা হলফ করে বলতে পারি। বিএনপির এমন অবস্থান জামায়াতের প্রতি অতি আদিখ্যেতা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরাও আমাদের জবাব দেব। অন্তত ২৫ আসন, নতুবা নয়।

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, জাতীয় ঐক্যের নেতাদের দাবি ফেলে দেয়ার মতো নয়। বরং যৌক্তিক। কিন্তু বিএনপি যে জামায়াতের জন্য অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে দীর্ঘদিন, সেই জামায়াতকে নিয়ে এতো মাতোয়ারা না হলেই পারতো। বরং জামায়াতকে দেয়া গুরুত্বটা যদি ঐক্যের নেতাদের দিতো তবে অন্তত জনসমর্থনে কিছু এগিয়ে থাকতে পারতো বিএনপি।

 

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!