এ পর্যন্ত আড়াই হাজার ‘অসাধু’ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব মো.জাফর উদ্দীন বলেছেন, সরকারের নানা উদ্যোগে পেঁয়াজের বাজার ‘অতি দ্রুত’ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে তারা আশা করছেন।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পেঁয়াজ নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
তিন মিনিটের একটি লিখিত বক্তব্য দিয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়েই চলে যান বাণিজ্য সচিব।
মিয়ানমার সম্প্রতি পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য চার গুণ বৃদ্ধি করেছে এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ‘দুই এক দিন ধরে’ বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্য সচিব।
তিনি বলেন, “এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।”
আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে কার্গো বিমানে করে মিশর, তুরস্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে সচিব বলেন, “আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, এস আলম গ্রুপের পেঁয়াজের প্রথম চালান আগামীকাল কার্গো বিমানে করে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা যায়।”
সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে জাফর উদ্দীন বলেন, এলসি খুলে সমুদ্রপথে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আনতে দেড় মাসের মত সময় লেগে যাচ্ছে । উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজের চালান এখন বাংলাদেশের পথে সাগরে রয়েছে ।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে এবং ঢাকাসহ সারাদেশে টিসিবির কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন তদরকি অব্যাহত রেখেছে জানিয়ে সচিব বলেন, “এ পর্যন্ত আড়াই হাজার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
বন্যার কারণে বেকায়দায় থাকা ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম এক লাফে একশ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
এরপর সরকারের নানা উদ্যোগে সামান্য কমলেও ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের পর পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে দুদিনের মধ্যে দেড়শ থেকে ১৮০ টাকায় উঠে যায়। এরপর সপ্তাহ পার না হতেই আড়াইশ টাকায় উঠে যায় পেঁয়াজের কেজি।
শুক্র-শনিবারও ঢাকার বাজারগুলোতে ২৫০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়। তবে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় এবং চড়া দামের কারণে ঘরে ঘরে ব্যবহার কমায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছেড়ে দামও নামতে শুরু করে। রোববার দাম কমে ২৩০ টাকার আশপাশে চলে আসে।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার পর সরকার এলসি মারজিন ও সুদের হার কমানোর পাশাপাশি বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। অনিদানিকারকদের অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। অমিদানি করা পেঁয়াজ নিবির্ঘ্নে খালাস করার জন্য বন্দর কর্তপক্ষ, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সবাইকে প্রস্তুত রাখা হয়।
“সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণের ফলে অতিদ্রুত পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে ।”