ই-কমার্স গেটওয়েতে আটকে থাকা ২১৪ কোটি টাকা ফেরত পাচ্ছেন গ্রাহকরা। এ ব্যাপারে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দ্রুত টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে এক মাসের মধ্যে শুরু হবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন প্রক্রিয়াও।
সোমবার (১ নভেম্বর) এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরে সাংবাদিকদের অতিরিক্ত সচিব জানান, খুব দ্রুত ২১৪ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ই-কমার্সকে আনা হবে নিবন্ধনের আওতায়। দেওয়া হবে ইউনিক বিজনেস আইডি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, ২১৪ কোটি টাকা শুধু সিআইডির কাছে ফ্রিজ করা আছে, এটা ডিফ্রিজ হলে গ্রাহকদের কাছে ফেরত যাবে। বাকি তথ্যগুলো হাতে এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
সচিব জানান, অভিযুক্তদের তিনটি তালিকা করেছে তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা। সেই তালিকা তুলে দেয়া হবে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। শফিকুজ্জামান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যেটা ড্যামেজ হয়েছে, সেটা রিপিয়ার করে বেরিয়ে আসতে।
এর আগে গেটওয়েতে আটকে থাকা গ্রাহকদের টাকা কেন ফেরত দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন উচ্চ আদালত। রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন বলেন, তারা শত শত কোটি টাকার ব্যবসা করছে, এই টাকা ফেরত না দেওয়াটা শুভঙ্করের ফাঁকি।
ই-কমার্স কেনাকাটায় গ্রাহকের টাকার সুরক্ষায় গত জুলাই থেকে এসক্রো সার্ভিস চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পণ্যের অর্ডার করে গ্রাহকের দেয়া আগাম টাকা জমা থাকে পেমেন্ট গেটওয়েতে। পণ্য বুঝে পেলেই কেবল তখনই টাকা ছাড় করা হয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এভাবে গ্রাহকের ২১৪ কোটি টাকা আটকা পড়ে গেটওয়েতে।