১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হবে আগামী ১ নভেম্বর। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রথমে ঢাকার ১২টি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া প্রতিটি জেলায় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান জাহিদ মালেক।
এর আগে মানিকগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়েছিল।
গণটিকাদান কর্মসূচিতে ৮০ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এ কর্মসূচিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ৮০ লাখ মানুষকে একসঙ্গে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তখন প্রথম আলোকে বলেন, ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁরা ৮০ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৬ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দিতে পেরেছিলেন। আজকের কর্মসূচি ঠিকভাবে পালিত হলে প্রায় তিন কোটি মানুষ পূর্ণ দুই ডোজ টিকার আওতায় আসবেন। এর মাধ্যমে দেশের ১৭ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পাবেন।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত আছে। টানা ১২ সপ্তাহ ধরে নতুন রোগী কমছে। সর্বশেষ এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন রোগী কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এ সময় মৃত্যু কমেছে ৩১ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানানো হয়। চলতি বছরের মার্চে এসে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়। মাঝখানে কিছুদিন সংক্রমণ কমে এসেছিল। কিন্তু গত জুনের শেষে গিয়ে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়ায়। একপর্যায়ে রোগী শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের ওপরে ওঠে। দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১০ থেকে ১৫ হাজার। দৈনিক মৃত্যুও দুই শতাধিক হয়েছিল। গত আগস্টের শুরুর দিক থেকে সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়।