বান্দরবান অফিসঃ-জাতীয় ঐক্যের বৈঠক থেকে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে কানেক্ট করা হয়েছিল তারেক রহমানকে। ঢাকায় মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নবগঠিত যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় চলছিল এই বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তার মোবাইল ফোন থেকেই লন্ডনে কানেক্ট করা হয়েছিল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে।
উক্ত বৈঠক সম্পর্কে জাতীয় ঐক্যের এক নেতা বলেন, বিএনপি আমাদের সঙ্গে দল গঠনে সম্মত হয়েছে। বিএনপি চাইছে তাদের সম্পূর্ণ অস্তিত্ব বিলীন করে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে। জাতীয় ঐক্যের হয়ে আমারা বিএনপির কাছে শর্ত রেখেছিলাম, যদি জাতীয় ঐক্য চান, তবে বিএনপির নাম সর্বস্ব কিছুই আর ফেরত পাবেন না। তারা সব কিছু মেনে আমাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। আমাদের শর্তের মধ্যে আরো একটি উল্লেখযোগ্য ছিলো, জামায়াতকে বাদ দেয়া। মজার বিষয় হচ্ছে বিএনপি জামায়াতকে বাদ দিতেও রাজী হয়েছেন। এছাড়া জাতীয় ঐক্য বিএনপির কাছে ১৫০ আসন চাইলে, তা দিতেও সম্মতি জানায় বিএনপি। এই কারণে বলাই যায়, বিএনপির রাজনীতি বিলুপ্ত হলো।
উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে, বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, নির্মম বাস্তবতা মেনে নিতে কোনো সমস্যা নেই। বিএনপি বর্তমানে কোনঠাসা একটি দল। এমতাবস্থায় জাতীয় ঐক্যের থেকে পাওয়া যায়, তাই উত্তম। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই তারেক রহমান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে উক্ত বৈঠকে কিছু বিষয়ে বিএনপি একমত হলেও এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে মাহী বি চৌধুরী বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। মূলত তাদের বৈঠক চলা কালীন সময়ে মোবাইল ফোনে তারেক রহমানকে রাখার কারণে এ বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। বিএনপির এমন কাজকে মোটেও সহজে গ্রহণ করেনি জাতীয় ঐক্য। এসময় মাহী বি চৌধুরী রাগে উত্তেজিত হয়ে উঠেন, এবং বিএনপির সঙ্গে জোট করতে অসম্মতি প্রকাশ করেন।
এসময় জাতীয় ঐক্যের পক্ষ থেকে মাহী বি চৌধুরীর আদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের সকল ফোন জব্দ করেন জেএসডি’র এক সিনিয়র নেতা। এসময় পরিস্থিতি গরম হলে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিষয়টিকে স্বাভাবিক করে তুলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন কারাগারে বন্দী, অপরদিকে সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান লন্ডনে ফেরারি আসামি। এক্ষেত্রে দলকে বাঁচিয়ে রাখতে জাতীয় ঐক্যের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়াই বিএনপির জন্য মঙ্গলকর হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।