বান্দরবান অফিসঃ- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। কানাডার ফেডারেল কোর্টে তা প্রমাণ হওয়ার আগেই সে সম্পর্কে অবহিত হয়েছিলো বাংলার মানুষ। বিএনপি বিভিন্ন সময় সহিংসতা চালিয়ে কেড়ে নিয়েছিল স্বস্তির নিঃশ্বাস। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সময় ২০১৪-১৫ সাল। সেসময় পাকিস্তানপুষ্ট দল জামায়াতে ইসলামীর সহযোগিতায় এক বিভীষিকাময় অধ্যায় রচনা করে বিএনপি। ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করতে এবং ২০১৫ সালে তথাকথিত গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করতে গিয়ে বিএনপি-জামায়াত বাংলার নিরীহ মানুষদের যেভাবে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছিলো তা অবর্ণনীয় এবং বিএনপি ও তার মিত্র যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী যে নারকীয়, নৃশংস ও বর্বরোচিত সহিংসতা চালিয়েছে তা চিরস্মরণীয়।
বর্বরোচিত সহিংসতা ২০১৪: নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টা-
২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে নির্বাচন প্রতিহত করার নামে এবং তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে মাঠে নামে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। দেশব্যাপী ভয়াবহ নৃশংসতা চালায় জামায়াত এবং তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির। বিএনপি-জামায়াত দুইমাসব্যাপী তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে সারা দেশে ৬৪ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। সেসময় প্রায় ৬০ দিন হরতাল এবং অবরোধ করে জোরপূর্বক। এর ফলে শত শত কোটি ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয় বাংলাদেশের অর্থনীতি। হাজার হাজার যানবাহন ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দিয়ে সড়ক অবরোধের নামে সেসময় রাস্তার দু’পাশে কেটে ফেলা হয় ২৬ হাজার গাছ। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী আন্দোলনে আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পুলিশ, বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবি, আনসার এবং সেনা সদস্যসহ ২০ জন নিহত হয়। তৎকালীন সময়ে বিএনপি-জামায়াত সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তাদের স্বেচ্ছাচারী সন্ত্রাস চালায়। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরকারি অফিস, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাস্তার পাশের ক্ষুদ্র দোকানপাট- এমনকি নিরীহ গবাদি পশুও রক্ষা পায়নি।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদ-মন্দির, প্যাগোডাও। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে হাজার হাজার পবিত্র কোরআন শরিফ পর্যন্ত পুড়িয়ে দেয় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। রেল লাইনের ফিসপ্লেট তোলা হয় নির্বিচারে। এতে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় মূল্যবান রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দিন পুড়িয়ে দেয় ৫৮২টি স্কুল। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের শিকার হয়ে প্রাণ হারান প্রিসাইডিং অফিসারসহ দেশের ২৬ জন নিরীহ মানুষ। নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা।
হাইকোর্টে পুলিশের দাখিল করা প্রতিবেদন অনুসারে, বিএনপি-জামায়াত ক্যাডারদের দ্বারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ২১ জেলায় প্রায় ১৬০টির মতো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘরের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেসময় তারা ধ্বংস করে দেয় কয়েক মিলিয়ন ডলারের সম্পদ। ওই হামলার পেছনে দায়ীদের প্রায় সবাই বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডার বলে পুলিশের প্রতিবেদনে উঠে আসে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপরে নৃশংস হামলা চালিয়ে তাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করে দেয়া, মন্দিরে আগুন দেয়া, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করাসহ এমন কোন গর্হিত কাজ নেই যা বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা করেনি। এমনকি আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার অপরাধে ইচ্ছাকৃতভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের দ্বারা নির্বাচনের পরে যেসব জায়গাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে তারমধ্যে দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, চাঁদপুর, বাগেরহাট, যশোর, নড়াইল, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, জয়পুরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী এবং ঠাকুরগাঁও অন্যতম।
২০১৫: গণতন্ত্র হত্যা দিবস ঘোষণা দিয়ে আবারো সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম
৪ জানুয়ারি ২০১৫। ৫ জানুয়ারিকে সরকারের বর্ষপূর্তিকে তথাকথিত গণতন্ত্র হত্যা দিবস ঘোষণা দিয়ে আবারো সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিএনপি-জামায়াত। নতুন করে জলোচ্ছ্বাসের মতো সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়া হয় সমগ্র বাংলাদেশে। এই সময় বিএনপি-জামায়াতের ছোড়া প্রেট্রোল বোমায় নিহত হয় ২৩১ জন সাধারণ মানুষ। আগুনে পুড়ে আহত হয় ১ হাজার ১৮০ জন। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় ২ হাজার ৯০৩টি প্রাইভেট কার, ১৮টি রেলের বগি এবং ৮টি যাত্রীবাহী নৌ-যান। সেসময় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ৭০টি সরকারি অফিস ভাঙচুর করে, আগুনে পুড়িয়ে দেয় ৬ টি ভূমি অফিস।
বিএনপি-জামায়াতের এই নৃশংস বর্বরতা আমার মনে আছে, আপনার?
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.