স্বাস্থ্য সেবায় সরকারের উন্নয়ন


প্রকাশের সময় :২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২:৫৬ : অপরাহ্ণ 599 Views

বান্দরবান অফিসঃ-গত নয় বছরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। অবিশ্বাস্য হলেও পরিবর্তনগুলো ইতিবাচক। শুধু ইতিবাচকই না, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক মডেল। তাই প্রাসঙ্গিকভাবেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বৈপ্লবিক উন্নতিগুলো এখন সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানী, স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি নির্ধারক, স্বাস্থ্য বিষয়ক দাতা সংস্থাদের কাছে রীতিমতো ‘মীরাকেল’।

আওয়ামী লীগ সরকার গত নয় বছরে চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নার্সিং সেবার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে যার ফলে দেশের আপামর জনগণের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি সহজতর হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড পর্যায়ে ১৩ হাজার ৫০০ টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। সেগুলোতে ৩১টি ঔষধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। সব জেলা হাসপাতালকে বর্তমান সরকার ২৫০ শয্যা, যেগুলো ২৫০ শয্যার ছিল সেগুলোকে ৫০০ শয্যা এবং ৫০০ শয্যার হাসপাতালকে এক হাজার শয্যায় রূপান্তরিত করেছে। দেশে এই প্রথম জেলা হাসপাতালগুলোতে কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। একই সাথে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সেবার মান মনিটরিং এর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ইউনিট কাজ করছে।

সরকার বর্তমানে জিডিপির ৩% স্বাস্থ্যসেবাখাতে ব্যয় করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭১.৮ যা ২০০১ সালে ছিল ৬৫.৫। পরিবার পরিকল্পনা সুবিধা পেয়ে থাকে ৭৩% মানুষ। আবশ্যকীয় ঔষধ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে ৬৫% মানুষকে। মাতৃমৃত্যুর হার এখন প্রতি এক লাখে ১৭৪ জন যা ২০০১ সালে ছিল ৩৯৯ জন। প্রতি ১০০০ জনে নবজাতকের মৃত্যু ২০০১ সালে ছিল ৪২.৬ যা ২০১৫ সালে কমে হয় ২৩.৩। পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি ১০০০ জনে ২০০১ সালে ছিল ৮৮ যা ২০১৫ সালে ৩৭.৬ এ নেমে আসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক বাংলাদেশকে পোলিও এবং ধনুষ্টংকারমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার কারণে জাতিসংঘ থেকে ২০১৪ সালে ‘‘সাউথ সাউথ ভিশনারী এ্যাওয়ার্ড’’ লাভ করেন। এর আগে ২০১২ সালে টিকাদান কর্মসূচীতে সাফল্যের জন্য বাংলাদেশকে “গ্লোবাল এ্যালায়েন্স ফর ভেকসিনস এন্ড ইমিউনাইজেশন এ্যাওয়ার্ড” দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১০ সালে শিশু মৃত্যুর হার ৫০% এ নিয়ে আসার জন্য “এমডিজি এ্যাওয়ার্ড ” পেয়েছেন। স্বাস্থ্যখাতের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এ ধরনের আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!