বান্দরবানে স্বামী হত্যার দায়ে হাসিনা বেগম (৫৬) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.ফজলে এলাহী ভূইয়া এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হাসিনা বেগম বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ২৯১ নম্বর তৈনাফ মৌজা ইউনুস মেম্বার পাড়া কলার ঝিড়ি এলাকার মৃত কোরবান আলীর স্ত্রী। তিনি লামা উপজেলার রুপসী পাড়া এলাকার মোসলেম শেখের মেয়ে।রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো.ইকবাল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়,আলীকদম উপজেলার বাসিন্দা কোরবান আলীর সঙ্গে সামাজিকভাবে হাসিনা বেগমের বিয়ে হয়।এর সপ্তাহ খানেক পরে কুরবান আলী লামার রুপসী পাড়া শশুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে গরু চোর অপবাদে স্থানীয় সাইফুল, রবিউল,জব্বার ও সিরাজ ডাক্তার তাকে আটক করে গরু চোর বলে মারধর করার চেষ্টা করে।
তখন হাসিনা বেগমের মায়ের সহায়তায় কোরবান আলী রক্ষা পান এবং কলার ঝিরি ফিরে আসেন। কলার ঝিরি তাদের বাবার বাড়ির পশ্চিম পাশে পাহাড়ে টিলায় মাটির দেওয়াল ও চারছালা ছনের ঘর তুলে কোরবান ও হাসিনা বসবাস করতে থাকে। ১৯৯৩ সালের ২৭ মার্চ সাইফুল ও রবিউল কোরবান আলীর ঘরে ঢুকে কোরবান আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে খবর পান।
পরে ১৯৯৩ সালের ২৮ মার্চ নিহতের চাচাত ভাই এরশাদ মিঞা মমতাজ বাদী হয়ে হাসিনা বেগম ও সাইফুলের বিরুদ্ধে লামা থানায় হত্যা মামলার অভিযোগ করেন।ওই হত্যা মামলায় স্বাক্ষ্য প্রমাণে অভিযুক্ত হাসিনা বেগম তার স্বামী কোরবান আলীকে হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত হাসিনা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপর আসামি সাইফুল ইসলাম জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়ে এই রায় দেন।