নিউজ ডেস্কঃ- ৬ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দ্বারা সমাবেশস্থলে আসা শরিকদলগুলোর নেতাকর্মীদের হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাজ পরিয়ে নেতা-কর্মীদের ‘চাঁদাবাজি’ করতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হেনস্তার শিকার হওয়া শরিকদলের কর্মীরা।
জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর ও বাইরে তিন-চারজনের আলাদা আলাদা গ্রুপ হয়ে কিছু তরুণ-যুবককে এই চাঁদাবাজি করতে দেখা যায়। তারা খালেদা জিয়ার ব্যাজ লাগিয়ে সালামি হিসেবে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের হেনস্তা করে এবং ব্যাজ খুলে নেয়া হয়। এমনকি প্রকাশ্যে তারা নিজেদের ছাত্রদলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কর্মী দাবি করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মৎস্য ভবনের দিক দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতেই দুই যুবক সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের ব্যাজ লাগিয়ে দিচ্ছেন। এরপর নিচু স্বরে সালাম দিয়ে সম্মানি চাইলেন। চক্ষুলজ্জায় লোকটি ২০ টাকা দিলেন। কিন্তু যুবকরা তা নিতে চাইলেন না। কমপক্ষে ১০০ টাকা দাবি করায় লোকটি তাতে রাজি না হওয়ায় যুবকরা তার পোশাকে লাগানো ব্যাজ খুলে নেয় এবং ধিক্কার দিতে থাকে।
এরকম ব্যাজ লাগিয়ে টাকা আদায় করছিল সুমন ও আরিফ নামে দুই যুবক। আরিফ নিজেকে বাংলা কলেজের ছাত্র ও আদাবর ছাত্রদলের কর্মী বলে দাবি করেন। আর সুমন নিজেকে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল কর্মী বলে দাবি করেন।
ব্যাজ লাগানোর কারণ জানতে চাইলে আরিফ বলেন, আমরা স্বেচ্ছায় ব্যাজ লাগাচ্ছি। এগুলো বানাতে আমাদের কিছু টাকা খরচ হয়েছে, এজন্য আমরা সম্মানি নিচ্ছি।
তবে ব্যাজ খুলে নেয়া হচ্ছে কেন? জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফ বলেন, ‘আপনার সমস্যা কী? সম্মানি না দেয়ায় ব্যাজ খুলেছি’। এভাবে ব্যাজ লাগিয়ে টাকা আদায় করা ঠিক হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজি করছি তাতে আপনার কোন সমস্যা আছে? আপনি আপনার কাজ করেন’।
এদিকে অভিযোগ করে মোস্তাফা নামে এক বিএনপি কর্মী বলেন, নেত্রীর ব্যাজ লাগিয়ে দিচ্ছে ভালো কথা। টাকা আদায় করছে কেন? আর এটি যদি সম্মানি হয়ে থাকে তাহলে যে যা দিবে তাই নেবে। কিন্তু তারা জোর-জবরদস্তি করে টাকা আদায় করছে। তারা নেত্রীর নাম বলে চাঁদাবাজি করছে। এটি ঠিক হচ্ছে না। দলের নীতিনির্ধারকদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
জানতে চাইলে ঢাকা উত্তরের ছাত্রদল সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, খালেদা জিয়ার ব্যাজ পড়িয়ে তার বিনিময়ে ছাত্রদলের কিছু কর্মী সম্মানি দাবি করেছে সে কথা শুনেছি। কিন্তু তা নিয়ে তারা অন্যান্য কর্মীদের হেনস্তা করেছে তা জানতাম না। যারা এরকম আচরণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.