দলীয় ভঙ্গুর অবস্থা কাটিয়ে দলকে রাজপথমুখী করতে দলের পুনর্গঠন নিয়ে বেশ সরব হয়ে উঠেছে বিএনপি। দলকে ঘুরে দাঁড় করাতে স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটিসহ সকল কমিটিতে ব্যাপক পরিবর্তনের আভাসও দিচ্ছে দলটি। পাশাপাশি দলের সুবিধাবাদী, প্রতারক ও অর্থলোভী নেতাকর্মীদের মাইনাস করারও ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
তবে বিএনপি অর্থ-বিত্তের মোহ এড়িয়ে যোগ্যতার-ভিত্তিতে সব কমিটিতে মনোনয়ন দিতে পারবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। যে দলে পদ বিক্রি হয় এবং স্বজনপ্রীতির কারণে যোগ্যরা পদবঞ্চিত হন, সেই দলে এই মিশন কতটা সফল হবে সেটি নিয়েও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
এ বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি যতদূর জানি- অর্থের বিনিময়ে করা কমিটি চান না বিএনপি নেতারা। নেতৃত্ব বা দলের দুর্দশা কাটিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য ও তরুণ নেতা বাছাইয়ের কথা ভাবছেন তারা। আগের সুবিধাবাদীরা নতুন করে বিভিন্ন কমিটিতে জায়গা পেলে বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলেও নানা গুঞ্জন শুনছি।
তিনি আরো বলেন, সত্য বলতে- বর্তমান কমিটিগুলোতে থাকা নেতারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের ভীতি ও পলায়নপর নীতির কারণে রাজপথে নামতে পারছে না বিএনপি। এছাড়া অনেকেই মামলা-হামলা থেকে বাঁচতে সরকারি দলের এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন। তাই সুবিধাবাদীদের চিহ্নিত করে দালাল ও বেইমানমুক্ত বিএনপি গড়তে অনুসন্ধানী কমিটি গঠনেরও চিন্তা করছে দল।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে দলটির সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত মাহবুবুর রহমান বলেন, যোগ্য ও তরুণ নেতৃত্বের অভাব ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির স্বচ্ছতা না থাকায় প্রায় প্রতিটি কমিটির কার্যক্রম নেই বললেই চলে। এছাড়া দলের অভ্যন্তরে অনেক দালাল নেতা রয়েছেন, যারা দলের তথ্য পাচার করেন। এসব নেতাকর্মীদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হয়তো বিএনপির কোন্দলগুলো দূর হতে পারে।