সূত্র বলছে, ৩ জুলাই দিবাগত রাতে তারেক রহমান জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।
রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জোটের একক প্রার্থী দেয়া হবে- ঘোষণা এসেছে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের কাছ থেকে। তবে জামায়াতের মনোভাব বিবেচনায় নিলে জোটের একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে হলে সিলেটে মেয়র পদে ভোট থেকে বিএনপিকেই সরে দাঁড়াতে হবে। এর আগে, তিন সিটিতেই ২০১৩ সালে বিএনপির প্রার্থীরা জয়লাভ করেছিলেন। আর রাজশাহী ও সিলেটের বর্তমান মেয়র যথাক্রমে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং আরিফুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। বরিশালে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে মজিবর রহমান সরোয়ারকে। এর মধ্যে জামায়াত সিলেটে এহসান মাহবুব জুবায়েরকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। জুবায়েরকে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিকবার ফোন করে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু জোটের বৈঠকে জামায়াত আবারও জানিয়ে দিয়েছে তারা সিলেট নির্বাচন থেকে সরবে না।
বৈঠকের নেতারা জানান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য ছাড়াও জোটের অন্য শরিক দলের নেতারা জামায়াতের প্রতিনিধি আবদুল হালিমকে সিলেটের প্রার্থী প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। তবে তিনি আমলে না নিয়ে নিজেদের প্রার্থী রাখার ব্যাপারে নানা যুক্তি তুলে ধরেন। শরিক দলগুলোর মধ্যে একাধিক নেতাও অবশ্য জামায়াতের পক্ষে কথা বলছেন। তারা বলছেন, বড় দল হিসেবে বিএনপি ছাড় দিলে সেটি জোটের জন্য ভালো হবে।
সদ্য সমাপ্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং এর আগে স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও নিজেদের প্রার্থী দিয়েছিল জামায়াত। দলটির সূত্র বলছে, সিলেট নিয়ে চাপ দিতেই এই কাজ করেছিল জামায়াত।