মদ, জুয়া, ক্যাসিনো, চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে সরকার। সরকারের কঠোর পদক্ষেপে একে একে গ্রেফতার হচ্ছেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
জানা গেছে, ক্যাসিনো সংস্কৃতিতে জড়িয়ে যুব সমাজকে ধ্বংস করার পাঁয়তারায় জড়িত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আটকের ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে বিএনপি শিবিরে। কারণ, দেশে, বিশেষ করে রাজধানীতে ক্যাসিনো, জুয়ার আসর ও হাউজি খেলার নামে অবৈধ বাণিজ্য শুরু ও বিস্তার ঘটেছিলো বিএনপির বিগত শাসনামলগুলোতে। অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানে অনেকটা আত্মগোপনে চলে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মতো নেতারা। কারণ, ঢাকা শহরে এক সময়ে ক্যাসিনো ও জুয়ার আসরগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন মির্জা আব্বাস ও তার ভাই মির্জা খোকন। যেকোন সময়ে গ্রেফতার হতে পারেন- এমন আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়েছেন মির্জা আব্বাস বলেও নানা গুঞ্জন চাউর হয়েছে।
ক্যাসিনো, জুয়ার আসর ও হাউজির নামে ঢাকায় অবৈধ বাণিজ্যে মির্জা আব্বাসের যোগসাজশের বিষয়ে জানতে তার মোবাইল নাম্বারে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। ঢাকায় মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি বিশেষ কাজে ব্যস্ত রয়েছেন তাই কারো সাথে দেখা করবেন না। তবে তিনি কোথায় আছেন তা জানাতে পারেননি বাড়ির দারোয়ান গোলাম মিয়া।
এদিকে ক্যাসিনো ও জুয়ার ব্যবসায় মির্জা আব্বাসের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। মির্জা আব্বাস জুয়ার ব্যবসা করেননি। তার ভাই মির্জা খোকন এসব করতেন তার নাম ভাঙ্গিয়ে। আমার জানা মতে, তৎকালীন সময়ে তারেক রহমানের চাপে যুবদল নেতাদের নিয়ন্ত্রণে ক্যাসিনোগুলো চালু রাখতে প্রশাসনকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন মির্জা আব্বাস। তার মানে এই নয় যে, তিনি এই ব্যবসার সাথে জড়িত। রাজনৈতিক সুপারিস করাটা অন্যায়ের কিছু নয়।