এসব হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় বহন করবে সরকার। এজন্য প্রতিটি হাসপাতালে অগ্রিম ১৭ লাখ টাকা করে জমা রাখা হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই টাকা ছাড় করা হবে। এর ৭৫ শতাংশ খরচ হওয়া মাত্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আবারও টাকা চেয়ে ডিও দেবে এবং ডিও পাওয়ামাত্র আবারও বরাদ্দ দেওয়া হবে। সরকারের তহবিল থেকে বিশেষ করে দেশের হাট-বাজার ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে যে চার শতাংশ হারে রাজস্ব আদায় করা হয়, তা এই চিকিৎসা খাতে ব্যয় করা হবে। বর্তমানে ১ লাখেরও কিছু বেশি মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হলেও আগামীতে তা দুই লাখ টাকায় উন্নীত করা হবে।
এ উপলক্ষে ২২ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সিরাজুল হক খান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরুপ চৌধুরী। সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই চুক্তির আওতায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা জীবনের শেষ বয়সে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত, তারা দেশের এই ১৪টি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন। চিকিৎসা বাবদ প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হলেও আগামীতে তা দুই লাখ টাকায় উন্নীত করা হবে। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সূর্য সন্তান। সুচিকিৎসা পাওয়া তাদের অধিকার। আর এ ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।