আওয়ামী লীগ চক্রান্তকারীদের সঙ্গে আপস করে ক্ষমতায় টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার ৬ এপ্রিল রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এদিকে মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন রাজনীতি সচেতনরা। নিজেদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে ভারমুক্ত হওয়ার অপচেষ্টা থেকেই বিএনপি নেতা এমন অযৌক্তিক এবং ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। সরকারকে ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরে নিজেদের অন্তরজ্বালা মেটাতে দিন রাত ব্যস্ত থাকলেও ফলাফল শূন্য হওয়ায় দলটিতে হতাশা বিরাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের উদার রাজনৈতিক দর্শনের প্রবর্তক। বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়ন ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় সূচনালগ্ন থেকেই সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপির জন্ম তো বন্দুকের নলের মুখে। প্রচলিত গণতন্ত্রকে হত্যা করে স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় বিএনপির পথচলা শুরু হয়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিচয় ঘটিয়েছে বিএনপি। অতীতে যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী এবং চক্রান্তকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েই ক্ষমতা দখল করেছিল বিএনপি। ২০০১ সালের অপশাসনের ক্ষত আজও বয়ে বেড়াচ্ছে দেশের মানুষ। বিএনপিকে স্বৈরাচারী রাজনৈতিক দল বলতে আমাকে দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে না। ক্ষমতা দখল ও অপশাসন মূলত বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন।
বিএনপির দোষারোপের রাজনীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) পলিটব্যুারের একজন সদস্য বলেন, বিএনপি দেশের গণতন্ত্রের নামে দুর্নীতি ও ধ্বংসের রাজনীতির প্রবর্তক। জন্মের পর থেকেই দলটি কৌশলে বিভিন্ন চক্রান্তকারী মহলের সঙ্গে আঁতাত করেই চলেছে। এসব কারণে সচেতন দেশবাসী বিভিন্ন সময়ে তাদের বর্জনও করেছে। সেজন্যই তো নেতা-কর্মী ছাড়া কারো মাথা ব্যথা নেই দলটির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে।
তিনি কিছুটা সময় নিয়ে বলেন, রাজনীতির সম্বল হলো জনসমর্থন ও ভালোবাসা। বিএনপি সেটি থেকে বহু দূরে অবস্থান করছে। নাহলে দিন রাত এক করে দলটির নেতারা আন্দোলন-সংগ্রামের ডাক দিয়ে আকাশ-পাতাল এক করলেও কেউ সাড়া দিচ্ছেন না কেন? যে দলের নেতারা বিপদের দিনে লাপাত্তা হয়ে যায় সেই দল কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, সেটি আমি বুঝি না।