বান্দরবান অফিসঃ-আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আলোচিত সংলাপের পর বিএনপি’র সাথে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মত পার্থক্য দেখা দিয়েছে। বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যের সাথে ড. কামালদের মতের মিল না হওয়ায় ঐক্যফ্রন্টে বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একদিকে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল সংলাপের আলোচনায় সন্তুষ্ট নন। আর অন্যদিকে সংলাপ ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন ড. কামাল।
০১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কাছে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ দুই নেতা একে অপরের বক্তব্যে ভিন্নমত পোষণ করেন।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, সংলাপ শেষে বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার আগে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাথে মির্জা ফখরুল প্রচণ্ড রেগে কথা বলছিলেন। সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের প্রবীণ নেতাদের হটকারী বক্তব্যে ফখরুল চরম হতাশা ব্যক্ত করেন। অন্যদিকে মির্জা ফখরুলকে বেয়াদবি না করে ড. কামাল তার প্রতি আস্থা রেখে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন।
বিএনপি সূত্র বলছে, সংলাপে বসার কৌশল ব্যর্থ হওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা আরেক নেতাকে দোষারোপ করছেন। শরিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ চরমে পৌঁছেছে। বিএনপির সাথে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বিরোধটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ চাওয়া নিয়েই তৈরি হয়েছে বলেও জানা গেছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপি’র নেতা মির্জা ফখরুল বলছেন, সংলাপের প্রধান ইস্যু হতে হবে ফ্রন্ট ঘোষিত ৭ দফার প্রথমটি। যেখানে বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, আলোচনা করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার। সেটা বাদ দিয়ে সংলাপে ড. কামালরা আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথা বলেছেন। যা কোনো ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
অপরদিকে ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেন, বিএনপির বিশ্বাসঘাতক নেতারা নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নামে মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছেন। আসলে বিএনপি’র বাইরে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় আসা নেতাদের নিয়ে নতুন দল গঠন করতে যাচ্ছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। মডার্ন মেজরিটি পার্টি (এমএমপি) নামের ওই নতুন রাজনৈতিক দলের প্রচারণা ও জনসমর্থনের জন্য তারা অচিরেই মাঠে নামবেন বলে আমরা গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি। এখন নিজেদের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস না হয়ে যায় সেজন্য ঐক্যফ্রন্টে বিভক্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন তারা।
প্রসঙ্গত, ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে জোট ভাঙার ষড়যন্ত্রের কথা গণমাধ্যমে এর আগেও প্রকাশ পেয়েছে।