জানতে চাইলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যে সময়টা আছে, আমরা চাইছি, সে সময়টায় শুধু আলোচনা হোক। নৈশভোজে অংশ নিলে তো আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটবে। এই কারণেই নৈশভোজে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর কোনও কারণ নেই। সময় তো খুব মূল্যবান।’
এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘নৈশভোজে অংশ না নিলেও সংলাপে কোনও প্রভাব পড়বে না।’
জানা গেছে, বুধবার রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নেয় গণভবনে রাতের খাবার না গ্রহণের। এরপর গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে আবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ফোন করে মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে অনুরোধ জানান। এরপর মন্টু জানান যে, ফ্রন্টের সিদ্ধান্ত হয়েছে রাতের খাবারে অংশ না নেওয়ার।
মাহমুদুর রহমান মান্না বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সংলাপ তো হবে দেশের ক্রাইসিস নিয়ে। আমরা চা খাবো। নৈশভোজে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি কাদের সাহেবকে (ওবায়দুল কাদের) জানানো হয়েছে।’
ফ্রন্টের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিএনপি নেতারা তাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সংলাপে গিয়ে নৈশভোজে অংশ নিতে অনীহা জানায়। এরপরই ফ্রন্টের শীর্ষনেতারা বিএনপির এই মনোভাবকে সমর্থন দিয়ে নৈশভোজে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত বিএনপির হবে কেন, এটা ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত।’
সুত্রঃ-বাংলা ট্রিবিউন।