বায়োগ্যাস উৎপাদন এবং শুকনো জৈবসার তৈরির লক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) নতুন পদ্ধতি উন্মুক্ত করা হয়েছে। টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে শেকৃবির অ্যানিম্যাল প্রোডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও বাংলাদেশ বায়োগ্যাস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (বিবিডিএফ) যৌথভাবে এই গবেষণা চালাচ্ছে।
‘ড্রাই ডাইজেশন’ নামের নতুন পদ্ধতিতে বায়োগ্যাস ও জৈবসার মিলবে স্বল্প খরচ ও সহজতর উপায়ে। ইউরোপের দেশগুলোতে এ পদ্ধতিতে কৃষি বর্জ্য থেকে জৈবসার উৎপাদন বহুল প্রচলিত।
ড্রাই ডাইজেশন পদ্ধতিতে গৃহস্থালি ও কৃষি বর্জ্যে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার না করেই রান্নার কাজে ব্যবহৃত বায়োগ্যাস এবং শুকনো জৈবসার উৎপাদন করা যায়। এতে একই সঙ্গে বায়োগ্যাস উৎপাদন বাড়ে এবং গ্যাস উৎপাদনের পরে অবশিষ্ট ডাইজেস্টেড বর্জ্য থেকে সহজেই আদর্শ জৈবসার তৈরি করা যায়। এই পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন শেকৃবির অ্যানিম্যাল প্রোডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী অধ্যাপক এনায়েত কবির, বিবিডিএফের মোকাররম বিল্লাহ চৌধুরী, নাজমুল হক, রওশন চৌধুরী ও শাহেদ ইসরায়েল খান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সমকালকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এই পদ্ধতি উন্মুক্ত করেছি। দেশে প্রচুর পরিমাণে গৃহস্থালি ও কৃষি বর্জ্য অব্যবহৃত থাকে। সে ক্ষেত্রে মাটির ওপরে কিংবা ভবনের ছাদেও চেম্বার স্থাপন করে প্রয়োজনীয় বায়োগ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব। এতে করে বাসাবাড়িতে গ্যাসের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জৈবসারেরও জোগান পাওয়া যাবে। এটি তরল আকারে না হয়ে শুস্ক হওয়ায় সহজে বহন ও ব্যবহারযোগ্য।’
শুষ্ক পদ্ধতিতে এই বায়োগ্যাস উৎপাদন প্রযুক্তির বিষয়ে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘নতুন এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে পানির অপচয় রোধ হবে। একই সঙ্গে কমিয়ে আনা সম্ভব খরচ ও পরিবেশ দূষণ।