হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও উপজেলা ছাত্রশিবিরের সহ-সভাপতি শাহ সোহান আহমেদ মুসাকে গ্রেফতার করতে গেলে আসামির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওসি ও এসআই আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমারকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপর আহত এসআই ফখরুজ্জামানকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ শহরের সালামতপুর এলাকায় ব্র্যাক অফিসের কাছে শিবির নেতা মুসার দোকানে পুলিশ অভিযান চালায়। সেসময় সোহানুর রহমান মুসা ও তার সঙ্গীরা দোকান থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকলে ওসি তদন্ত এবং এসআই ফখরুজ্জামান গুরুতর আহত হন। সেসময় মুসা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ছাত্রশিবিরের সহ-সভাপতি মুসা একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী। ছাত্রশিবির ও ইসলামের লেবাস দিয়ে তার অপকর্ম ঢেকে রাখতেন তিনি।
শিবির নেতার এমন আগ্রাসী মনোভাবে শঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি দুই দফা বৈঠককালে জামায়াতে ইসলামীর বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। এবার শিবিরের নেতার এমন ঘটনা ভালো কোনো বার্তা বহন করছে না। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সোচ্চার হওয়া দরকার।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, শিবির নেতা মুসা ও তার সঙ্গীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কর্মকর্তা বলছেন, জামায়াত-শিবিরের যেকোনো আগ্রাসী পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সদা প্রস্তুত।