একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী নতুন সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন না বিএনপির নির্বাচিত ৫ জন এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে শরিক দল গণফোরামের ২ জন। বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের কথায় তারা দুইজন শপথ না নিলেও ওই দুই নেতা ও তাদের সমর্থকরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে জয়ী গণফোরামের প্রার্থী সুলতান মনসুরের উপরে শপথ নেয়ার ব্যাপারে তার সমর্থকদের চাপ ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। কুলাউড়া উপজেলা গণফোরামের আহ্বায়ক মতাহির আলম চৌধুরী বলেন, এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সুলতান মনসুরের এমপি হিসেবে শপথ নেওয়া উচিত ছিলো। কেননা, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে মানুষ ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছেন তারা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের আমানত রক্ষার জন্য হলেও শপথ নেয়া উচিৎ ছিলো। তাদের আশা ক্ষুণ্ণ হলো। এর প্রভাব যে পরবর্তী নির্বাচনে পড়বে না তা বলা যায়?
এ প্রসঙ্গে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করা। কিন্তু জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা হলো না। সূত্র বলছে, সুলতান মনসুর শপথ গ্রহণের পক্ষেই ছিলো। এ নিয়ে তিনি অনেকটা হতাশও।
অন্যদিকে সিলেট-২ আসনে ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের নির্বাচিত প্রার্থী মোকাব্বির খান তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের মতামত সংগ্রহ করেন। তারা তাকে শপথ নেয়ার পরামর্শ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। পরবর্তী নির্বাচনে এর প্রভাব নেতিবাচকভাবে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ২২টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ৫টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ২টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি, গণফোরাম ২টি, জাতীয় পার্টি-জেপি ১টি এবং তরিকত ফেডারেশন ১টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে ৩ জন স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আজ ৩ জানুয়ারি সকাল ১১টায় নির্বাচিতদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।