একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল গণফোরাম থেকে বিজয়ী সুলতান মনসুর অবশেষে শপথ গ্রহণ করেছেন। নির্বাচনের পর ঐক্যফ্রন্টের কোন বিজয়ী প্রার্থীই শপথ নেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হলেও তা ধরে রাখতে পারেনি জোটটি। শত বাধা বিপত্তিতেও ৭ মার্চ শপথ নিয়েছেন সুলতান মনসুর। এমন প্রেক্ষাপটে সুলতান মনসুরকে প্রতারক বলে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্যরা। এছাড়া এই শপথের পেছনে ড. কামালের ইন্ধন আছে কিনা তা নিয়েও তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল।
শুক্রবার (৯ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সুলতান মনসুর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। ফ্রন্টের সিদ্ধান্ত না মেনে লোভে পড়ে সংসদে গিয়ে তিনি নিজেকে ছোট করেছেন।
সুলতান মনসুর শপথ নেয়ায় ঐক্যফ্রন্টের ঐক্যে টানাপোড়েন দেখা দেবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, সুলতান মনসুর ঐক্যফ্রন্টের তেমন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন না। তিনি চলে যাওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের কোনো ক্ষতি হবে না। মনসুর একজন প্রতারক। তিনি নেতা না হলেও ঐক্যফ্রন্টের গায়ে যে কালিমা লেপন করে গেলেন তার জবাব তিনি পাবেন। তার এই প্রতারণা আমাদের মনে থাকবে।
ঐক্যফ্রন্ট এই ঘটনার জন্য ড. কামালকে দায়ী করবেন কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, যদিও মোকাব্বির খান শপথ নিতে চাইলেও ড. কামালের পরামর্শে তাকে ফেরানো গেছে। কিন্তু গুঞ্জন উঠেছে, সংসদের গণফোরামের অংশগ্রহণ ধরে রাখতে সুলতান মনসুর এবং মোকাব্বির খানকে নিয়ে কৌশল করেছেন ড. কামাল। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবো। আপাতত এ বিষয়ে নিয়ে ড. কামালের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে চাই না।
এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা উঠেছে, তদন্তে ড. কামালের ফেঁসে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদি তা হয়, তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্থায়িত্ব নিয়েও হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনীতি সচেতন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।