দেশে থাকবে না কোন অবৈধ রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং। সারাদেশের কোথাও কোন অবৈধ খোলা গেটম্যানবিহীন রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং রাখতে চায় না সরকার। রেল ক্রসিংয়ে বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ও হতাহতের হার কমিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মূলত রেলপথ ও সড়কপথ নিরাপদ করতে রেল ক্রসিংয়ের দুপাশে স্পীড ব্রেকার স্থাপন, গুমটি ঘর নির্মাণ, রেলগেট নির্মাণ, সুরক্ষা সরঞ্জামাদি স্থাপনসহ নানাভাবে বৈধ বা ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে সকল রেল ক্রসিং। এর বাইরে রেললাইন ঘিরে সড়কে আন্ডারপাস কিংবা ওভারপাস নির্মাণ, যথাসম্ভব লেভেল ক্রসিং গেটের সংখ্যা কমানো, এলজিইডি কিংবা বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক অবৈধ এবং চরম ঝুঁকিপূর্ণভাবে নির্মিত লেভেল ক্রসিংগুলোয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। প্রতিটি অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে নিয়োগ দেয়া হবে গেটম্যান। এছাড়াও এখন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সরকারের কোন সংস্থাই নতুন কোন রেল ক্রসিং হবে এমন কাঁচা বা পাকা সড়ক নির্মাণ করতে পারবে না। গত ১০ জানুযায়ি রেলপথ মন্ত্রণালয়ে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) ঐকমত্যে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে সারাদেশে ১ হাজার ১৪৯টি অবৈধ রেল ক্রসিং রয়েছে। গত ১৩ বছরে রেল ক্রসিংয়ে ঘটা দুর্ঘটনায় ২৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রেল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিটি কর্পোরেশন, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের সীমানায় অবস্থিত সকল রেল ক্রসিংকে নিয়মের মধ্যে আনতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। এসব এলাকায় অবস্থিত সকল রেল ক্রসিংকে বৈধ করতে প্রয়োজনীয় সকল কিছু নিজস্ব ব্যয়ে নির্মাণ করবে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় তবে রক্ষণাবেক্ষণ করবে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা ও এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে অতি দ্রুততার সঙ্গে সকল অবৈধ রেল ক্রসিংয়ের দুপাশে স্পীড ব্রেকার নির্মাণ করার কথাও নিশ্চিত করেন তারা।
রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এসব অবৈধ ক্রসিংকে ঝুঁকিমুক্ত বা ব্যবহারযোগ্য করা হবে। এদিকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া নতুন করে রেললাইন অতিক্রম করবে এমন কাঁচা বা পাকা রাস্তা নির্মাণ না করার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। যদি কোন স্থানে অনুমতি ছাড়াই রেল ক্রসিং করে রাস্তা নির্মাণ করা হয় তাহলে তাদের প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে। এর ফলে ইচ্ছেমতো রেললাইনের ওপর দিয়ে অবৈধ রাস্তা তৈরির পথ চিরতরে বন্ধ হবে। এর মাধ্যমে আশা করা যায় অবৈধ রেল লেভেল ক্রসিংয়ে আর কোন দুর্ঘটনা ঘটবে না। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সকল অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশের বতর্মান বৈধ ও অবৈধ সকল রেল ক্রসিংয়ে আগে বাধ্যতামূলকভাবে স্পীড ব্রেকার নির্মাণ করা হবে। দুর্ঘটনা কমাতে ও সামনে রেলপথের অবস্থান বোঝাতে অতি দ্রুতই এসব স্পীড ব্রেকার নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকার এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়। যেখানে তিনটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত কমিটিকে রেলওয়েতে অরক্ষিত (রেলগেটবিহীন) বৈধ-অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা নির্ধারণসহ বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেয়া হয়। কমিটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী লেভেল ক্রসিংয়ের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, রেলের মোট বৈধ লেভেল ক্রসিং গেট রয়েছে ১ হাজার ৪১২টি, যার মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ৪৩৪টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ৯৭৮টি। একইসঙ্গে রেলওয়ের মোট অবৈধ লেভেল ক্রসিং রয়েছে ১ হাজার ১৪৮টি, যার মধ্যে ৮৯০টি পূর্বাঞ্চলে এবং ২৫৯টি পশ্চিমাঞ্চলে। অপরদিক মোট ম্যান্ড লেভেল ক্রসিং গেটের সংখ্যা ৪৪৬টি, যার মধ্যে ২৪৫টি পূর্বাঞ্চলে এবং ২২১টি পশ্চিমাঞ্চলে। মোট আনম্যান্ড লেভেল ক্রসিং গেটের সংখ্যা আছে ৯৬৪টি, যার মধ্যে ১৮৯টি পূর্বাঞ্চলে ও পশ্চিমাঞ্চলে ৭৫৭টি ।
এদিকে, এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৪৯টি অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে খোদ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) নির্মাণ করেছে ৫১৬টি, যার মধ্যে ৩৩২টি পূর্বাঞ্চলে ও ১৮৪টি পশ্চিমাঞ্চলে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সওজের রয়েছে ১১টি, যার ৬টি পূর্বাঞ্চলে ও ৫টি পশ্চিমাঞ্চলে। ইউনিয়ন পরিষদের রয়েছে ৩৩৬টি, যার মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ৩২৪টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ৩৯টি। সিটি কর্পোরেশনের রয়েছে ৩৪টি, যার মধ্যে ১৯টি পূর্বাঞ্চলে ও ১৫টি পশ্চিমাঞ্চলে। জেলা পরিষদের রয়েছে ১৩টি, যার সবই পূর্বাঞ্চলে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের রয়েছে তিনটি। বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের রয়েছে একটি। জয়পুরহাট চিনিকল কর্তৃপক্ষের একটি ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা প্রাইভেটকেন্দ্রিক রয়েছে তিনটি যেগুলো রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এর বাইরে অন্যান্য অবৈধ ক্রসিং রয়েছে ৯২টি, যার সবই পূর্বাঞ্চলে। একইসঙ্গে ৩৩টি অবৈধ রেল ক্রসিং আছে পূর্বাঞ্চলে যেগুলো কাদের আওতায় রয়েছে তার কিছুই জানে না রেল কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে মোট ১ হাজার ১৪৯টি রেল ক্রসিং অবৈধভাবে রয়েছে। জানা গেছে, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শুধু লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৬৩ জন। ২০১৯ সালে ১৮ এবং ২০২০ সালে ১৭ জন মারা গেছেন। এই সময়ে মোট আহত হয়েছেন কমপক্ষে কয়েক হাজার পথচারী।
১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ঝুঁকিপূর্ণ ক্রসিংগুলোর দুই পাশে (সড়কে) দ্রুত সময়ের মধ্যে স্পীড ব্রেকার স্থাপন, রেললাইন ঘিরে সড়কে আন্ডারপাস কিংবা ওভারপাস নির্মাণ, যথাসম্ভব লেভেল ক্রসিং গেটের সংখ্যা কমানো, এলজিইডি কিংবা বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক অবৈধ এবং চরম ঝুঁকিপূর্ণভাবে নির্মিত লেভেল ক্রসিংগুলোয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যে তিনটি নির্দেশনা প্রদান করা হয় তার দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলা হয়। সভা সূত্রে জানা গেছে, রেলের ২ হাজার ৫৬১টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৯টি অবৈধ। অর্থাৎ প্রায় ৪৫ শতাংশ অবৈধ। তবে রেলওয়ের মাঠপর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে, রেলের ২ হাজার ৮৫৬টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে অবৈধ ১ হাজার ৩৬১টি। অর্থাৎ প্রায় ৪৮ শতাংশ অবৈধ। বৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোর মধ্যে ৬৩২টিতে গেটকিপার নেই। অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোয় যেমন গেটকিপার নেই এছাড়া সুরক্ষা সরঞ্জামও নেই। ফলে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
এদিকে, ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় রেল দুর্ঘটনার বিষয়ে বলা হয় যে, রেলওয়ের লেভেল ক্রসিংয়ে স্পীড ব্রেকার না থাকায় এবং অবৈধ রেল ক্রসিংয়ের কারণে রেল দুর্ঘটনা ঘটছে। রেলওয়ে লেভেল ক্রসিংসমূহে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের রাস্তাগুলো তৈরির সময় স্পীড ব্রেকার স্থাপন করা হলে দুর্ঘটনা কিছুটা হ্রাস পেত। অপরদিকে অনুমোদিত লেভেল ক্রসিং গেটসমূহে সড়ক যান এবং রেল চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি জানমালের নিরাপত্তা ও আশঙ্কাজনকভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই স্পীড ব্রেকার নির্মাণের সম্ভাব্যতা বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই প্রেক্ষিতে পরে ২৯ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ইতিপূর্বে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসহ অথবা অনুমতি ব্যতিরেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক নির্মিত যে সকল রাস্তা রেলক্রস করেছে সেই সকল রেল ক্রসিংয়ে রেলগেট নির্মাণ, গুমটি ঘর নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় নির্ধারণপূর্বক এলজিইডি জরুরী ভিত্তিতে একটি ডিপিপি প্রণয়ন করবে এবং বিদ্যমান আইন, বিধি-বিধান মোতাবেক রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি গ্রহণপূর্বক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এছাড়াও সভায় এখন থেকে এলজিইডি কর্তৃক যে সমস্ত রাস্তা নির্মাণ করা হবে সেখানে রেল ক্রসিং থাকলে আবশ্যিকভাবে ক্রসিংয়ের জন্য আইন অনুযায়ী রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নিতে হবে। তবে রেলপথ মন্ত্রণালয় তদানুযায়ী রেলগেট নির্মাণ ও তত্ত্বাবধান করবে। এরই প্রেক্ষিতে যৌথভাবে দুই মন্ত্রণালয় দ্রুততার সঙ্গে সকল অবৈধ রেল ক্রসিংকে দুর্ঘটনামুক্ত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, ইতিপূর্বে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইনের ওপর ক্রস করে এলজিআরডির যত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে তার বেশিরভাগই নিয়ম মেনে করা হয়নি। কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই রেলক্রস করে এসব রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। যা চরম অন্যায়। শতভাগ অনিরাপদ ও রেলগেটহীন এসব রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের কারণে প্রতিদিনই রেল ক্রসিংয়ে নানা দুর্ঘটনা ঘটছে ও প্রতিনিয়তই অসংখ্য লোক নিহত ও আহত হচ্ছেন। এ থেকে স্থায়ী পরিত্রাণের জন্য আমরা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে স্থানীয় সরকারের অধীনস্ত সকল অবৈধ রেল ক্রসিংকে শতভাগ নিরাপদে ব্যবহারযোগ্য করতে একমত হয়েছি। নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা দেশে কোন প্রকার অবৈধ রেল ক্রসিং রাখতে চাই না।তাই পূর্বানুমতি ছাড়া রেললাইনের ওপর দিয়ে কোন রাস্ত নির্মাণ করতে পারবে না এলজিআরডি। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অতি দ্রুতই রেলগেট নির্মাণ, গুমটি ঘর নির্মাণ, সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদানসহ সকল রেল ক্রসিংকে বৈধ করে নিয়মের আওতায় আনতে রেলওয়েকে এ সংশ্লিষ্ট একটি ডিপিপি তৈরি করতে বলা হয়েছে। তারা ডিপিপি তৈরি করলে পরে আমরা সেই অনুযায়ী সরকারের কাছে প্রকল্প প্রস্তাব প্রদান করব ও প্রয়োজনীয় অর্থ পেলেই দ্রুততার সঙ্গেই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন শুরু করব। কিন্তু পরবর্তীতে রেলগেটের নিরাপত্তা প্রদানের কাজ করবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে কমবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু যৌথসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেললাইন ঘিরে নির্মিত পুরনো কিংবা নতুন সড়কে আন্ডারপাস কিংবা ওভারপাস নির্মাণ ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা জনকণ্ঠকে বলেন, রেলের উন্নয়নে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। যার সুফল ভোগ করছেন নাগরিকরা। তবে বৈধ-অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে এতে অনেক মানুষ হতাহত হচ্ছে। আমরা প্রাথমিকভাবে দেশের সকল অবৈধ রেল ক্রসিং বন্ধ করতে চাই। তাই প্রথমেই অতি দ্রুততার সঙ্গে সকল রেল ক্রসিংয়ে দুপারে স্পীড ব্রেকার নির্মাণ করা, অবৈধ লেভেল ক্রসিং বন্ধ করাসহ ক্রসিং ঘিরে ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। ফলে কমবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু। মূলত আমরা রেল ক্রসিংয়ে আর কোন দুর্ঘটনা দেখতে চাই না। আমরা কঠোরভাবে এসব নিয়ন্ত্রণ করতে যাচ্ছি। এছাড়াও নতুন করে অনুমতি ছাড়া রেল ক্রসিং করে আর কোন রাস্তাও নির্মাণ করবে না এলজিআরডি। অপরদিকে এলজিইডির সীমানায় অবস্থিত সকল অবৈধ রেলক্রসিংকে বৈধ করতে প্রয়োজনীয় সকল কিছু করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।