পাহাড়ী জেলা বান্দরবানে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নিষেধাজ্ঞার ১৯তম দিনেও মানুষ ঘরে আবদ্ধ রয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে নানা পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার পর্যন্ত বান্দরবানের ৭টি উপজেলা থেকে মোট ৮৩জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত সংগ্রহ করা ৫০জন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে।
এদিকে লামা উপজেলায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা দুই ব্যক্তি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ১১এপ্রিল শনিবার দুপুরে লামা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদুল হক তাদের নমুনা সংগ্রহ করেন।
এছাড়াও উক্ত দুই ব্যক্তির বাড়ি লাল পতাকা দিয়ে চিহিৃত করা হয়েছে। বাড়ির সকল সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। নারায়ণগঞ্জ করোনা সংক্রমণের এখন কেন্দ্রস্থলে পরিনত হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন খবর পাওয়ার পরপরেই ১১এপ্রিল শনিবার দুপুরে দ্রুত এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরা হলেন-লামা পৌর এলাকার লামামুখ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফারুক, পিতা-মোঃ হুমায়ন এবং মোঃ রাশেদ পিতা-মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। এরা ১০এপ্রিল শুক্রবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে লামা নিজ বাড়িতে আসেন বলে স্থানীয় সুত্রগুলো জানিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-এ জান্নাত রুমির নেতৃত্বে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান ও উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদুল হকসহ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা উক্ত দুই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ এবং তাদের বাড়িঘরে লালপতাকা দিয়ে চিহিৃত করে দেন। এছাড়াও বাড়ির সকল সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে বান্দরবান সিভিল সার্জন অং সুই প্রু মারমা জানান,নমুনা সংগ্রহের রিপোর্টগুলো পথে রয়েছে। জেলায় আসার সাথে সাথে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পরীক্ষার জন্য দ্রুত পাঠিয়ে দেয়া হবে।তিনি জানান,১১ এপ্রিল শনিবার আরো ৩১জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।এগুলো হচ্ছে আলীকদম থেকে ২২জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ৯জন রয়েছে।তিনি আরো জানান, ০৫ এপ্রিল রবিবার থেকে ১০ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত ৭ উপজেলা থেকে ৫০জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১১এপিল পর্যন্ত জেলা সদরসহ অন্য ৬উপজেলা লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, রুমা, থানছি ও রোয়াংছড়ি থেকে সর্বমোট ৮৩জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে আলীকদম ও সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সব থেকে বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ৩১জন এবং আলীকদম থেকে ২৮জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।