রোজা-রমজানও মানছেন না বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রাজনৈতিক মহলে সমালোচনা উঠেছে- প্রেস ব্রিফিং করে মিথ্যাচারের অভ্যাস থেকে রিজভী রোজার মাসেও অসত্য বক্তব্য দিতে পাপ বোধ করছেন না।
মঙ্গলবার (২৮ মে) নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একতরফা নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জেতানোর পুরস্কার হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবকে বদলি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। এসময় সাংবাদিকরা সচিবের ‘পদায়ন পুরস্কার’ বিষয়ে রিজভীর কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে রিজভী সে প্রশ্নের কোনো উত্তর করতে পারেননি। বরং প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি অন্য প্রসঙ্গে চলে যান।
রিজভীর মিথ্যাচার বিষয়ে এক বরেণ্য সাংবাদিক বলেন, বিএনপি নেতাদের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ভুল হলো তাদের বেফাঁস মন্তব্য। সবচেয়ে হাস্যকর এবং দুঃখের কথা হলো- আজ রিজভী সাহেব যে বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন তা সত্য হোক আর মিথ্যা হোক, এই একই বিষয়ে তার দলের আরেক নেতার কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি এমন কোনো উত্তর দেবেন যা রিজভীর বক্তব্যের সঙ্গে মিলবে না। বরং ওই নেতা হয়তো এমন একটি বক্তব্য দেবে যা রিজভীর সঙ্গে কোনো মিলই নেই। অর্থাৎ মনগড়া অভিযোগ দিয়ে যে রাজনীতিতে বিশেষ কিছু করা যায় না তা অন্তত বিএনপির বোঝা উচিৎ। তারা সত্য-অসত্য যাচাই না করে বক্তব্য দেয়ায় আজ তাদের কথাতে জনগণ কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখায় না।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, যেকোনো ব্যক্তির পদায়নকে যদি নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয় তবে তা নিয়ে বলার কিছু নেই। রিজভী যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট-মিথ্যা। আর রিজভীর রাজনৈতিক চরিত্র ও দোষারোপের রাজনীতি সম্পর্কে রাজনীতি সচেতন সকলেরই জানা। সুতরাং আমি মনে করি- তার এইসব তথ্য-উপাত্তহীন কথায় কান না দেয়াই ভালো।