কয়েক দিন আগে বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসী নয়ন বন্ড প্রকাশ্যে রিফাত নামের এক ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে। সেসময় সারা বাংলাদেশের সচেতন মহল নয়ন বন্ডকে যেকোনো মূল্য মেরে ফেলার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়াজ তোলে। পরে অভিযান চলাকালে ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয় কুখ্যাত কিলার নয়ন বন্ড। কিন্তু এ নিয়েও আপত্তি তুলেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক মানববন্ধনে যোগ দিয়ে মান্না বলেন, নয়ন বন্ডকে গুলি করে মারা হয়েছে। যা না মারলেও হতো। তিনি এমন কোনো বড় অপরাধ করেনি যে তাকে ক্রসফায়ারে মারতে হবে। তাকে যদি আদালতে নিয়ে আসা হতো, হয়তো তিনি বাঁচলেও বাঁচতে পারতেন। যতোই প্রকাশ্যে খুন করুক তাকে ক্রসফায়ার দেয়া ঠিক হয়নি।
বন্দুক যুদ্ধের বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বরগুনার পূর্ব বুড়িরচর গ্রামে রাত আনুমানিক চারটার পরে এ ঘটনা ঘটে। গোপন খবরের ভিত্তিতে নয়নকে গ্রেপ্তারের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল্লাহ তাহেরের নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের দলটি পূর্ব বুড়িরচর গ্রামে পৌঁছালে অজ্ঞাতরা পুলিশের ওপর গুলি ছোঁড়ে। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে একজন ব্যক্তি নিহত হন, যাকে ভোরে স্থানীয় ব্যক্তিরা নয়ন বন্ড বলে চিহ্নিত করে।
মাহমুদুর রহমান মান্নার কথার রীতিমতো হতভম্ব হয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, নয়ন বন্ড নামের এই সন্ত্রাসী রিফাতের মতো একজন সাধারণ যুবককে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলো। অথচ এ কুখ্যাত সন্ত্রাসীর পক্ষ নিচ্ছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। যেখানে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ চাচ্ছিলো নয়ন বন্ডের শাস্তি হোক, কিন্তু বিএনপি সমর্থন দিচ্ছে একজন সন্ত্রাসীকে। শুরু থেকেই বিএনপি সন্ত্রাসী ও দেশবিরোধী শক্তিকে সমর্থন দিয়ে আসছে। বলতে দ্বিধা নেই, যদি তারা সন্ত্রাসীদের ব্যবহার না করে দেশের মানুষের কথা ভাবতো, তবে একযুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে থাকতে হতো না।