দলীয় কোন্দল, অতিথি প্রার্থীর মনোনয়ন ও স্থানীয় নেতাদের অবমূল্যায়নের জেরে রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিএনপি। ঘরে-বাইরের বিদ্রোহে দলীয় প্রার্থী রিটা রহমান মাঠেও দলীয় কর্মীদের সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। এমতাবস্থায়, উক্ত আসনের নির্বাচনে বিএনপির শোচনীয় পরাজয়ের শঙ্কা বিরাজ করছে সমর্থকদের মনে।
রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় বিশৃঙ্খলার বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন বঞ্চিত শহীদুল ইসলাম মিজু বলেন, এ আসনে এক সময় লাঙলের জয় অবধারিত বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। তবে আমরা আশা করছি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কিন্তু প্রার্থী হিসেবে রিটা রহমানকে নিয়েই যত ভয়। এমনিতেই এই আসনে বিএনপির ভোটার সংখ্যা কম, তার মধ্যে অতিথি প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে জোটের নেতা-সমর্থকরা।
তিনি আরো বলেন, রংপুর-৩ আসনটিতে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মনোনয়ন দিলে জেতার একটু সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু হাইকমান্ড স্থানীয় ভোটারদের নার্ভ না বুঝেই রিটা রহমানকে মনোনয়ন দিয়েছে। যার কারণে বিএনপি সমর্থকরা হাইকমান্ডের উপর কিছুটা ক্ষুব্ধ।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে রংপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ বলেন, জাতীয় পার্টির ঘাঁটিতে জনপ্রিয় ও স্থানীয় প্রার্থীর প্রত্যাশা করেছিলাম আমরা। বেশ কয়েকজন মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু পরাজিত রিটা রহমানকেই পুনরায় মনোনয়ন দিয়েছে হাইকমান্ড। কষ্ট হলেও আমাদের মেনে নিতে হচ্ছে। এই আসনে বিএনপিকে জয়ী হতে হলে অবশ্যই কোন্দল, ভুল বোঝাবুঝি ও বিভ্রান্তি দূর করতে হবে না হলে নতুন এই আসনে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।
কোন্দল ও অসন্তোষের জেরে পরাজয়ের শঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রিটা রহমান বলেন, আমরা না মরেই ভূত হয়ে যাচ্ছি। রাজনীতিতে কোন্দল, বিভেদ ও মতভেদ থাকবেই। তবে আশা করছি, বিএনপি-জামায়াতের ভোটাররা সব ভুলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আমাকে ভোট দেবেন। এই আসন ছিনিয়ে নিতে আমরা তৎপর রয়েছি। এই আসনে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে বিএনপি।