- দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার কারাবাস, তারেক রহমানের অদূরদর্শী রাজনীতি,খোকার মৃত্যু,মোর্শেদ খান ও মাহবুবুর রহমানের পদত্যাগসহ দলীয় কোন্দলের জেরে রাজনীতিতে ব্যাকফুটে চলে গেছে বিএনপি।
নীতি ও আদর্শহীন রাজনীতি চর্চায় উদ্দেশ্যহীন পথ চলায় বিএনপি সংকটকালীন সময় পার করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন,বিএনপির খাপছাড়া ও উদ্দেশ্যহীন রাজনীতির কারণে দলটির নেতাদের পদত্যাগ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে,যার কারণে আগামীতে দলটিকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চরম লড়াই করতে হবে। বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে একান্ত আলাপকালে দলটির সংকটাবস্থা সম্পর্কে জানা গেছে।
বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা.জাফরুল্লাহর মতে, সঠিক পরিকল্পনা,অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও না পাওয়ার আক্ষেপ থেকে বিএনপি নেতাদের মনে পদত্যাগের চিন্তা ভর করেছে।বিশেষ করে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা,যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন এবং রাজনীতিতে আস্থাহীনতার কারণে বিএনপি আজকে চরম বিপদে পড়েছে। এছাড়া সিনিয়র নেতাদের পরপর পদত্যাগ ও দলের রাজনৈতিক কৌশলে অনীহা এবং নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে বিএনপি রাজপথ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।যার ফলে দলটির কর্মীরাও রাজনীতিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন,সত্যি বলতে-তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলের নেতৃত্ব নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন মহলে চাপা অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। যার কারণে শত আহ্বানেও বেগম জিয়াকে মুক্ত করার মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতেও রাশভারী মনোভাব নিয়ে চলছেন দলটির নেতৃবৃন্দ।এতো সংকটের মধ্যে বিএনপির বড় সংকট হলো-খোকার মৃত্যু,মোরশেদ খান ও মাহবুবুর রহমানের পদত্যাগ।এসব ঘটনা দলটিকে বড় ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ধাক্কা দিয়েছে। যা কাটিয়ে উঠে স্বরূপে ফিরতে বিএনপিকে দীর্ঘদিন অস্তিত্বের সঙ্গে লড়াই করতে হবে।তবে সংকট উতরাতে না পারলে বিএনপিকে আরো বড় বিপদে পড়তে হতে পারে বলে আমি মনে করছি।