রক্তাক্ত ২১শে আগস্ট, বিএনপি জামায়াতের আক্ষেপের দিন


প্রকাশের সময় :২৯ আগস্ট, ২০১৮ ৬:১৯ : অপরাহ্ণ 622 Views

বান্দরবান অফিসঃ-শেখ হাসিনাকে হত্যা করে, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব সংকটে ফেলে দেয়ার টার্গেট থেকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বোমা হামলা চালানো হয়েছিলো। এই নৃশংস ঘটনা অবশ্যই বিনা উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়নি। এই ঘটনার সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনার যথেষ্ট সাদৃশ্য আছে।

২০০৪ সালে বিএনপি জামায়াতের শাসনামলে সারা বাংলাদেশে বোমা হামলার বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিলো প্রতিবাদ সমাবেশের। প্রধান অতিথি ছিলেন শেখ হাসিনা। মঞ্চটি করা হয়েছিলো ট্রাকের ওপর। দলের প্রায় সকল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন সমাবেশে। দলীয় নেতাদের বক্তৃতা শেষে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষ করে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলার সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্মুহু বোমা বিস্ফোরিত হতে থাকে। জঙ্গীরা এই স্লোগান বরদাস্ত করতে পারেনা, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারলে এই স্লোগান দেবার লোক থাকবে না মনে করে এই স্লোগান উচ্চারিত হওয়ার সময় গ্রেনেড মেরেছিলো জঙ্গীরা।

একনাগাড়ে ১৩টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরিত হয়। নেতা-কর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে শেখ হাসিনাকে ঘিরে ধরেন। তারপর তাঁকে বুলেট প্রুফ গাড়িতে উঠিয়ে দেন।

এই বোমা হামলায় ২৪ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন। অসখ্য নেতা-কর্মী আহত ও পঙ্গু হয়েছেন। হৃদয়বিদারক ভাবে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন আওয়ামী লীগের মহিলা নেত্রী আইভি রহমান। ২১ আগস্ট বিকেলে আওয়ামী লীগের সমাবেশে স্মরণকালের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছিলেন প্রায় ৩০০ জন। এদের অধিকাংশকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

গ্রেনেড হামলার পড়ে তৎকাণীন খালেদা-নিজামী সরকারের কর্মকাণ্ড ছিল সন্দেহজনক। স্মরণকালের সেই গ্রেনেড হামলার বিষয়ে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী বাবরের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং এতে ‘জজ মিয়া’ নামের এক ভবঘুরে, একজন ছাত্র, একজন আওয়ামী লীগের কর্মীসহ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল খালেদা-নিজামীর অপকর্ম ঢাকতে। অথচ পরবর্তী তদন্তে তত্তাবধায়ক সরকারের সময়ে তাদের কারো বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। খালেদা-নিজামীর তত্কালীন সরকার শুধু জজ মিয়া নাটকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। গ্রেনেড হামলার সকল আলামত নষ্ট করে দিয়েছিল যাতে করে ভবিষ্যতে আর এই গ্রেনেড হামলার কোনও আলামত খুজে পাওয়া না যায়।

২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করে দেশের প্রধান দল আওয়ামী লীগ- যারা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আদর্শের পতাকা বহন করে তাকে নেতৃত্বহীন করে দেওয়া।

ঐ দিন ঘটনাক্রমে বেচে যান শেখ হাসিনা। বিএনপি জামায়াত যে উদ্দেশ্যে ২১শে আগস্ট প্লট তৈরী করেছিল তা বাস্তবায়ন না হওয়ায়, ২১ শে আগস্টকে আক্ষেপের দিন হিসেবে দেখে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!