একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সচেষ্ট হয়েছে। তারই সূত্র ধরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ আখ্যায়িত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবির প্রতিবেদনটি বিশদ বিশ্লেষণ করলে নিছক মনগড়া বলতে কোন দ্বিধা থাকে না।
টিআইবি সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রীক প্রতিবেদনটিকে ‘গবেষণা প্রতিবেদন’ বলে দাবি করছে। কিন্তু তা কোন গবেষণা নয়। কেননা, গবেষণা করতে যেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়, তা এখানে প্রয়োগ করা হয়নি। এমনকি গবেষণা বিষয়ক কোন পদ্ধতির বর্ণনাই উল্লেখ করেনি প্রতিবেদনটিতে। কিন্তু সচেতন মানুষ মাত্রই জানেন, গবেষণার পদ্ধতি এবং প্রয়োগের বিষয়ে প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা বাঞ্ছনীয়। নইলে প্রতিবেদনটি সচেতন মানুষের সংশয় তৈরি করতে পারে। টিআইবির প্রতিবেদনটিতে গবেষণা সংক্রান্ত কোন তথ্য তুলে না ধরায় এ সত্য উন্মোচিত যে, প্রতিবেদনটি মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এছাড়া প্রতিবেদনটি সম্পর্কে টিআইবির কর্তাগণ বলেছেন, এটি তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদন। কিন্তু কোন গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক প্রতিবেদনের প্রাপ্ত ফলাফল গভীর পর্যালোচনা ছাড়া উপস্থাপন করতে পারে না। অর্থাৎ প্রতিবেদনটি তড়িঘড়ি করে উপস্থাপন করা হয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ প্রতিবেদনটি মনগড়া তা বলা অমূলক নয়।
টিআইবি বলছে, ২৯৯ আসনের মধ্যে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে গবেষণা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে এবং গবেষণাটি গুণবাচক। এতে মুখ্য তথ্যদাতার সাক্ষাৎকার ও পর্যবেক্ষণ এবং ক্ষেত্রবিশেষে সংখ্যাবাচক তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তথ্য নেওয়া হয়েছে পরোক্ষ উৎস থেকে।
কিন্তু এভাবে কোন গবেষণা হয় না। ভোটের কারচুপির তথ্য নিলে অবশ্যই তা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে নিতে হবে অথবা লিখিত কোন ডকুমেন্ট থেকে নিতে হবে। কিন্তু তারা এসবের কিছুই করেনি। কাজেই এটিকে গবেষণা বলা অযৌক্তিক।
টিআইবি বলেছে, তারা বাছাই করা প্রার্থীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে জামায়াতের প্রার্থীদের কাছ থেকে তথ্য নিলে গবেষণা প্রতিবেদন এক রকম হবে। আবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের থেকে নিলে তা আরেক রকম হবে। কিন্তু এই গবেষণায় টিআইবির বাছাই করা প্রার্থী কারা, সেটা স্পষ্ট নয়। তাই প্রতিবেদন প্রশ্নবিদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক সচেতন সুশীল সমাজ বলছে, নির্বাচন উপলক্ষে আসা একাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক দল যখন বলছে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ নির্বাচন হয়েছে তখন বিএনপি তথা বিএনপি মনভাবাপন্ন বিভিন্ন সংগঠন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছে যা হীনউদ্দেশ্যের বহিঃপ্রকাশ।
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা-১ আসনের একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় পুনঃ তফসিলের পর সেখানে ২৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই আসনে বিএনপি তার প্রার্থী সরিয়ে নিয়েছে। ২৯৯ আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট মোট ২৮৮টি, বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মোট ৮ টি এবং স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৩ আসন।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.